আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টিকলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জে তিন উপজেলার ১৬ ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে চেয়ারম্যান পদে ৫৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ৫৮৪ জন সাধারণ সদস্য ও ১৬৩ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী এবং ২৯ জন সাধারণ সদস্য ও ৬ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার তিন উপজেলা পরিষদে দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বাতিল ও বৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ১৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৬৪ জন প্রার্থী এবং সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যের ১৯২ পদের বিপরীতে ৭৮০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত এবং আপিল নিষ্পত্তি ২৫ অক্টোবর। এরপর প্রার্থীতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর এবং ভোট গ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। নারায়ণগঞ্জের কায়েতপাড়া ও মুড়াপাড়া ইউপিতে কেবল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
সদর উপজেলা:

কাশীপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন: বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম সাইফউল্লাহ বাদল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মাদ ওমর ফারুক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম। এছাড়া সাধারণ সদস্যের ৯টি পদের বিপরীতে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্যের ৩টি পদের বিপরীতে ১০ জন মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ২ জন সাধারণ সদস্যের মনোনয়নপত্র।

বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম শওকত আলীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবুল হোসেন ও আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৪১ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সদস্য পদে একজনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান পদে দুইজনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ আলীর এবং ৩ জন সাধারণ সদস্য ও ২ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে চারজনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনিরুল আলম সেন্টু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মনোনীত প্রার্থী এস এম কাদির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ কাউছার আহমেদ, জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৪৬ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। ৫ জন সাধারণ সদস্যের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান পদে তিন জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়েম আহাম্মেদ, ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী মো. ফিরোজ। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২৯ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। চেয়ারম্যান পদে জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী আমানুল্লাহ’র ও ২ জন সাধারণ সদস্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
গোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান পদে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন, নুর হোসেন সওদাগর, ফজর আলী, সাইদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবুল কাশেম। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সদস্য পদে ১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বন্দর উপজেলা:
বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান পদে দুইজনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এহসান উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোক্তার হোসেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৩১ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মো. শাহিন ও সাধারণ সদস্য পদে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গাজী এম এ সালাম, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হজরত আলী, দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ভুঁইয়া, রুহুল আমিন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৩৮ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। ১ জন সাধারণ সদস্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে এই ইউপিতে।
ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান পদে আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাসুম আহম্মেদ, বাংলাদেশ খেলাফত ইসলামের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আবুল কাশেম, ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন, কামাল হোসেন, আজিজুল হক, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর, ফয়সাল আহমেদ। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৪২ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৬ জন সাধারণ সদস্যের।
মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন: বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মাকসুদ হোসেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. মুছা। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। ২ জন সাধারণ সদস্যের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কলাগাছিয়ায় জমা দেয়া সকল মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান পদে পাঁচ বৈধ প্রার্থীরা হলেন: বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন প্রধান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজিম উদ্দিন প্রধান, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. শাহাবুদ্দিন, জাকের পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ