আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জেলা প্রশাসকের তহবিলে ত্রাণ সহায়তা দিলেন মন্ত্রী গাজী

নবকুমার:

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের তহবিলে ত্রাণ সহায়তা ও চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী ( পিপিই) দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এ ত্রাণ সহায়তা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌছে দেওয়া হয়। দুপুরে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন শহরের মন্ডল পাড়া ,খানপুর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়া ভিক্ষু ,দিনমজুর, কর্মক্ষম,রিক্সাচালক, ভ্যানগাড়ী চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক সংবাদচর্চার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মুন্না খাঁন উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল ,ডাল, তেল, পিয়াজ, আলু, সবান । খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে। জেলার ভিক্ষু ,দিনমজুর, কর্মক্ষম,রিক্সাচালক, ভ্যানগাড়ী চালক, মৎসজীবী সহ খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে। তিনি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

জসিম উদ্দিন বলেন,  করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। বিদেশ ফেরতদের আইন ভঙ্গের শাস্তি সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে।  বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৫ টি  জনসচেতনতামূল মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয় । হোম কোয়ারেন্টাইন কার্যক্রম যথাযথভাবে চলছে। মনিটরিং সেল ২৪ ঘন্টা চালু রাখা হয়েছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ৫ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিক টন চাল এসেছে। সেগুলো বিতরণ করা হবে।  নারায়ণগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ জন। তার মধ্যে আরোগ্য লাভকারী ২ জন। আইসোলেশনে ১ জন্য রয়েছে। ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে মোট প্রত্যাগত ৬ হাজার ৫  জন। ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তি মোট ১১২৮ জন। বাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৪২৬ জন।  সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ৬ টি। কোভিড ১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত  বেড ৩০ টি। ডাক্তারের সংখ্যা ৯০ জন। নার্সের সংখ্যা ১৭৩ জন। এস্বুলেন্সের সংখ্যা ৬ টি। বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ৭২ টি ,  কোভিড ১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড ৭২ টি , ডাক্তারের সংখ্যা ১০০ জন। নার্সের সংখ্যা ১৮০ জন।  ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ( পিপিই) বিতরণ করা হয়েছে ৫৯৫ টি। মজুদ রয়েছে ১১১৩ টি। ত্রাণ সহাতায় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার ব্যাপারে জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক সংবাদচর্চাকে বলেন, সরকারের নির্দেশ সবাইকে মেনে চলতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরে থেকে বের হবেন না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার করোনা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে দেশের সব সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা নারায়ণগঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রশাসনের মাধ্যমে পৌছে দিচ্ছি। দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের ধৈর্য হারা হওয়া যাবে না। কেউ গুজব ছড়াবেন না। করোনা মোকাবেলায় আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিজে বাঁচেন, অপরকে বাঁচান।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ