অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় জি কে শামীমকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। দুই মামলায় পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তার। এছাড়া শামীমের ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দেহরক্ষীরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে শামীমের কার্যালয় ঘিরে অভিযান চালায় র্যাব। কার্যালয়ের ভেতর থেকে ডলার, মদ, আগ্নেয়াস্ত্র, নগদ টাকা, এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় তার দেহরক্ষী সাতজনকে।
শামীমের কার্যালয় থেকে নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা ও ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর চেক পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, বাকিগুলো তার নামে। এছাড়া ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরি ডলার, একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং মদের বোতল জব্দ করা হয়েছে।
শামীমের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও অর্থপাচারে ৩ টি মামলা করা হয়েছে। শনিবার বিকালে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শামীম। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেজো। বড় ছেলে গোলাম হাবিব নাসিম ঢাকায় জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেন। সন্মানদী ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, প্রাইমারি স্কুল ও হাই স্কুল পাস করার পর তাঁদের গ্রামে দেখা যায়নি। তার সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্ক রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের সাথে।