আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাকিব-তামিম দলে নেই। কিন্তু দলে তার প্রভাব পড়তে দিলেন না মাশরাফিবাহিনী। শুরুতে এবং মাঝে অবশ্য সাকিব-তামিমকে কিছুটা মিস করেছে দল। কিন্তু ইমরুল কায়েসের এক সেঞ্চুরি সব অভাব ভুলিয়ে দিয়েছে। পরের কাজটা মেহেদি-মুস্তাফিজরা করেছে বল হাতে। শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮ রানের সহজ জয় পেয়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ তে।

ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশ হারতে পারে এটা কখনোই মনে হয়নি। রানের হিসেবে ২৮ রানের জয়টা ছোট মনে হতে পারে। তবে উপভোগ্য ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ইমরুল কায়েস দুর্দান্ত খেলেছেন। দারুণ এক উদযাপন করেছেন তিনি। মোহাম্মদ মিঠুনের স্বল্প রানের ইনিংস ছিল উপভোগ্য। সাতে পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন দারুণ এক ফিফটি করে দলকে দিয়েছে আস্থার প্রতিদান। মুস্তাফিজের দারুণ কিছু ডেলিভারি দিয়েছে বল হাতে। মেহেদি মিরাজের ডট বলা করা আর উইকেট তুলে নেওয়া। নাজমুল অপুর ‘নাগিন ড্যান্স’। সবমিলিয়ে টাইগাররা প্রত্যাশিত জয়ই পেয়েছে।

প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলের ১৭ রানের মধ্যে ফিরে যান লিটন দাস ও ফজলে রাব্বি। অভিষেক ম্যাচে কোন রান করতে পারেননি রাব্বি। এরপর ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। মাত্র দুই রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মাশরাফিবাহিনী। সেখান থেকে ১২৭ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস এবং সাইফউদ্দিন।

বাংলাদেশ ওপেনার ইমরুল ১৪০ বলে খেলেন ১৪৪ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তার ইনিংসটি ১৩ চার ও ছয়টি ছক্কায় সাজানো ছিল। এছাড়া আট মাস পরে দলে ফিরে ৬৯ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করেন সাইফউদ্দিন। মোহাম্মদ মিঠুন ৪০ বলে এক চার ও তিন ছয়ে ৩৭ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭১ রান তোলে বাংলাদেশ।

জবাবে শুরুতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তুলে ফেলে জিম্বাবুয়ে। এরপর পথ হারায় তারা। দলীয় ১০০ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ক্রেগ আরভিন ও শেন উইলিয়ামস। এরপর আবার ১৪৮ রানে সপ্তম ও ১৬৯ রানে অষ্টম উইকেট হারায় তারা। নবম উইকেট জুটিতে জারভিসের সঙ্গে উইলিয়ামস গড়েন ৬৭ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রান তোলে তারা। হারে ২৮ রানে। বাংলাদেশের জন্য আক্ষেপ তাদের অলআউট করতে না পারা।

বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৬ রানে ৩ উইকেট নেন মেহেদি মিরাজ। এছাড়া নাজমুল ইসলাম দুই উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান এবং মাহমুদুল্লাহ। জিম্বাবুয়ের দুই উইকেট রান আউটের ফাঁদে ফেলে তুলে নেয় বাংলাদেশ। সফরকারীদের হয়ে জারভিস ৪টি এবং টেন্ডি ছাতারা ৩ উইকেট নেন। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ আগামী ২৪ ও ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ