আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশ করল টাইগাররা

একমাত্র টেস্ট ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে শন উইলিয়ামসের দল।

এর আগে বুধবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ১২০ রানের লক্ষ্যে লিটন দাশের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ২৫ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।

১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলীয় ৭৭ রান তোলেন লিটন দাশ ও নাঈম শেখ। ছন্দে থাকা নাঈম ১১তম ওভারে ক্রিস এমপোফুর বলে বিদায় নেন। ৩৪ বলে ৫টি চারে ৩৩ করে টিনাশে কামুনহুকামউইকে ক্যাচ দেন।
এরপরই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন দারুণ ফর্মে থাকা লিটন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৫ বলে ৮ চারে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন এই ডান হাতি। ১৬ বলে ২ ছক্কায় হার না মানা ২০ করে জয় সহজ করে দেন ওয়ান ডাউনে নামা সৌম্য সরকার।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১২ রানে ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামুয়ের উইকেট তুলে নেন আল-আমিন হোসেন। এরপর ক্রেগ আরভিনকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন আফিফ হোসেন। ৩৩ বলে ৩টি চারে ২৯ রান করা আরভিনকে আউট করেন আফিফ।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মেহেদি হাসান, আল-আমিন মুস্তাফিজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তেমন কেউ দাঁড়াতে পারেননি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন টেইলর। ওপেনিংয়ে নেমে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৭ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট পান মুস্তাফিজ ও আল-আমিন। আর একটি করে উইকেট করে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান ও আফিফ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ