আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতীয় সংগীত গাইতে কোরআনে বাধা কোথায় ?

জাতীয় সংগীত গাইতে

জাতীয় সংগীত গাইতে

সংবাদচর্চা ডটকম:

মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করে সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত রিটকারী আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি দেখান পবিত্র কোরআনের কোথায় আছে জাতীয় সংগীত গাওয়া যাবে না? পবিত্র কোরআনের কোথাও নেই যে জাতীয় সংগীত গাওয়া যাবে না।’

অদালত আরো বলেন, আগে তো মাদ্রাসার সিলেবাসে অঙ্ক, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। যুগের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ইসলাম ধর্ম ডে বাই ডে (দিন দিন) উন্নত হচ্ছে। প্রকান্তরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করার জন্যই এ রিট করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আদালত।

আদালত বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত গাইবে আর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা গাইবে না, এটা তো হতে পারে না। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে গেলে যখন বিদেশিরা জাতীয় সংগীতের বিষয়ে জানতে চাইবে তখন শিক্ষার্থীরা কী জবাব দেবে?’

আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলে আমরা ইংরেজি না শিখে পিছিয়ে পড়েছিলাম। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দিতে এ ধরনের রিট করা হয়েছে।’

এর আগে গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামের সুখদেব ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মিয়া ও ঢাকার কদমতলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক এ রিট দায়ের করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে শতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক হলেও কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসায় এই চর্চা নেই। সম্প্রতি সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করে আদেশ জারি করে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ