আজ শনিবার, ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা একটা করুণ ইতিহাস

নবকুমার: নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, বিশ্বে বহু রাজনৈতিক হত্যাকান্ড হয়েছে। কোন হত্যাকান্ডে অবুঝ শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ছিলো না। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবমানবিক হত্যাকান্ড। খুনিরা সেদিন শিশু রাসেলকে পর্যন্ত রক্ষা করেনি। রক্ষা করেনি যুব লীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকে। ঘাতকরা বুঝতে পেরেছিলো জাতির পিতার পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য বাঙালিদের অতি আপনজন ছিলেন । বাংলাদেশকে মিনিপাকিস্থান বানানোর জন্য তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিরা সেদিন শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, খুনিরা বাংলাদেশের আত্মাকে হত্যা করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। বাংলাদেশকে পাকিস্তানপন্থার দিকে ঠেলে দেয়।
গতকাল বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক সাক্ষাতকারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির কন্ঠস্বর । ‘আমরা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি সেই পাকিস্তানিদের হাতে বঙ্গবন্ধু মারা যাননি, তিনি মারা গেলেন আমাদের বাঙালিদের হাতে। কত বড় অকৃতজ্ঞ আমরা! আমরা জাতির পিতাকে নিজেরা হত্যা করেছি। এটা একটা করুণ ইতিহাস।’
তিনি বলেন, খুনি মোশতাক জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। তাদের বিচার হওয়া দরকার। মন্ত্রী সরকারের কাছে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দ্রুত ফিরে এনে রায় কার্যকর করার বিচার দাবি করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে রাজনৈতিক ব্যক্তি সাবেক আমলা জড়িত। গুটি কয়েক বিপদগামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এটা মিথ্যা কথা। সেনাবাহিনীসহ সকলবাহিনীর সদস্যরা সেদিন দেশ প্রেমের পরিচয় দিলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারত না।
খুনিদের বিচার বন্ধ করতে তৎকালীন সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলো। শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনাকে দেশে আসতে দিতে চায়নি।
গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বছরের পর বছর কারাবরণ করেছেন । ২৪ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তারপর তিনি আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি সারা বিশ্বের নেতা। ৭ মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসির একটি সম্পদ। পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা। যেখানেই অন্যায় অবিচার ছিলো সেখানেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধু উন্নয়নের প্রতীক। বঙ্গবন্ধু ক্ষুদা দারিদ্র্য মুক্ত সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা নির্মাণের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিটা স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, যতদিন বাঙালি জাতি আছে, ততদিন বঙ্গবন্ধু সবার হৃদয়ে বেচে থাকবেন। তিনি বাঙালিদের চেতনার প্রতীক। তার মৃত্যু নেই। তিনি মহামানব।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ