আজ শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘জাকির মিথ্যাবাদী’

সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে মিথ্যাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। তার দাবি, সারাজীবন মানুষকে ভেজাল ঘি খাইয়ে ধনসম্পদের মালিক হওয়া জাকির এখন ধরাকে সরা জ্ঞানে রূপান্তরিত করতে চায়। তার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা কে দাবি করেছে, কী প্রমাণ আছে তার কাছে?

সম্প্রতি জাকির হোসেনকে জামায়াতের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার ওই বক্তব্যের পর একটি মাধ্যমকে জাকির হোসেন জানিয়েছেন, আব্দুল হাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য তার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। সেই টাকার জন্য তার ছেলেকে তিনবার পাঠিয়েছিলেন তার কাছে। জাকির হোসেন এই দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুল হাই ওই কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, আমি যদি টাকার জন্য ছেলেকে পাঠাই তাহলে তো তার কাছে প্রমান থাকবে। কোন ফুটেজ থাকবে। সে কি প্রমানের ভিত্তিতে বলছে জানা নাই। আসলে একজন মিথ্যাবাদী। সে তো দলের পরিচয় বহন করে অন্য দলের সাথে সম্পর্ক রাখে। সে আওয়ামী লীগের কেউ না। যদি হতেন তাহলে তো আর হেফাজতের ফেরদাউসকে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতেন না। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, তাকে যখন নৌকার প্রার্থী হিসেবে তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে সেখানে আমি বিরোধীতা করেছিলাম। সেখানে কোনো সই করিনি। এতেই আমার প্রতি তার ক্ষোভ।

হাই বলেন, বিশেষ মহলের তদবিরে জাকির হোসেন নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। অন্য একজনের নাম কেটে তার নাম বসিয়ে দেয়া হয়েছিল। এই মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তিনি কাকে বø্যাঙ্ক চেক দিয়েছিলেন? সেটা বের করা দরকার। এখন তিনি দু’বছর পর আমাকে নিয়ে অপপ্রচার করে। জাকির উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এগুলো করছে। কি প্রমান আছে? সে যা বলছে মিথ্যা। যদি কেউ টাকার জন্য যেত তাও আবার ২৫ বার, কিছু তো প্রমান থাকতো। আমি শিল্পকলা হলরুমে একটি অনুষ্ঠানে রাজাকার ও রাজকার পুত্রের অপকর্ম নিয়ে বিরোধ করেছি। আর এই জাকির হোসেন তো মনোনয়ন জমাও দিয়েছেন হেফাজতের ফেরদাউসকে নিয়ে। এটা কি দলের হলে করতে পারে। আমি কি অন্য দলের কাউকে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলে দল মেনে নিবে।

এদিকে, ৫০ লাখ টাকার অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রমান আছে কি না তা জানতে চাইলে জাকির হোসেন বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, তাকে (আবদুল হাই কে) টাকা দেইনি বলেই তো আমার বিপক্ষে বলেন। এখন সে কি বলল তা আমার দেইখা লাভ নাই। আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করলাম তো। পারলে আমাকে প্রমান করুক। যে আমি অন্য দলের রাজনীতি করি। আমি আগেও আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। কারো কিছু বলা আমার যায় আসে না। তবে এ নিয়ে আমি আর কোনো বক্তব্য দিতে চাই না। সময় হলে বলবো।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই দলীয় কার্যালয়ে স্মার্ট কর্ণারের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক, মন্ত্রী পরিষদের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার। এরপরই জেলা শিল্পকলায় আলোচনা সভায় বক্তব্যকালে রাজাকার পুত্র এবং জামাতের পৃষ্ঠপোষক নিয়ে মুসাপুরের মাকসুদ চেয়ারম্যান এবং আলীটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে ইঙ্গিত করেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ