আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জনগণ কখনো বেইমানি করে না:খানবাড়িতে মন্ত্রী গাজী

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ,বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন ,জনগণ কখনো বেইমানি করে না। যে উন্নয়ন করে জনগণ তাকেই ভোট দেয়। উন্নয়ন করার ইচ্ছা থাকতে হয়। নির্বাচন আসলে বুঝা যায়। অনেকে ওয়ান টাইম এমপি,ওয়ান টাইম চেয়ারম্যান । একবার এমপি হয়,একবার চেয়ারম্যান হয়। তারা চেয়ারম্যান -এমপি হওয়ার পরে আর মানুষকে চেনে না। মানুষকে ভুলে যায়। মনে করে আমি অনেক বড় হয়ে গেছি। তখন সেকেন্ড টাইম সে পাস করতে পারে না। আমাদের অনেক মেম্বার আছে ১২ জনের মধ্যে দেখা যায় ৭ জন ফেল করে। কারণ তারা জনগণের সাথে সম্পর্ক রাখে নাই। তাই তারা ফেল করছে। জনগণের সাথে সম্পর্ক রাখতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে,জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হয়। জনগণের রাস্তা- ঘাট ,স্কুল -কলেজ,মাদ্রাসা করে দিতে হয়। যার চাকরি দরকার তাকে চাকরি দিতে হবে। আমি ( গোলাম দস্তগীর গাজী) নির্বাচনের আগে যে ওয়াদা দিয়েছিলাম তা পূরণ করার চেষ্টা করছি। অনেকেই নির্বাচনের পর ভুলে যায়। আর গ্রামে আসে না। শহরেই বসবাস করে, শহরে যায় আনন্দ করে , বিদেশ যায় ফুর্তি করে। এ রকম বহু লোক আছে। তারাই হয় ওয়ান টাইম। অনেকে ওয়ান টাইম চেয়ারম্যান হয়েছেও।

মন্ত্রী বলেন, আমি কাজ করেছি বিধায় জাহেদ আলীকে আমরা এবার চেয়ারম্যান হিসাবে পাস করিয়েছি। জনগণের কাছে আমি,আমার ছেলে ,আমার স্ত্রী গেছে বলেই জনগণ জাহেদ আলীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পাস করিয়েছে। অনেক জায়গায় আমরা সমর্থন দিলে পাস করে যায়, আবার আমরা সমর্থন না দিলে তারা পাস করে না। কারণ জনগণ দেখে কার কথা ঠিক। যার কথা ঠিক তার কথা শোনে জনগণ । জনগণ কিন্তু বোকা না। জনগণকে ধোকা দেওয়া যায় না। ইলেকশনেই বোঝা যায়। অনেক পয়সা খরচা করেও পাস করা যায় না। সুতরাং জনগণের সঙ্গেই থাকতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে।

তিনি বলেন, কায়েতপাড়ায় আমরা রাস্তা-ঘাট করছি। নগরপাড়া থেকে চনপাড়ার রাস্তা হয়েছে । খানবাড়ি সড়ক কানেকটিভ করেছি। আমার কাজ হলো বড় বড় রাস্তা করা। শীতলক্ষ্যা নদীর উপর গাজী সেতু হয়েছে। সেই সেতুর সুফল ভোগ করছে জনগণ। আমাকে ভোট দিয়েছিলেন বলেই ব্রিজ করতে পারছি। রূপগঞ্জের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে কায়েতপাড়া ইউনিয়নে। সব ব্রিজ নির্মান হবে। কোন উন্নয়ন কাজ বাদ থাকবে না। এখন কায়েতপাড়াবাসী ভালো অবস্থানে আছে।
শনিবার ৬ আগস্ট দুপুরে কায়েতপাড়ার খানবাড়ি মাঠে আয়োজিত পূর্বগ্রাম-পশ্চিমগাঁও সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যখন শুধু এমপি ছিলাম তখন কাজ আনতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখন মন্ত্রী হয়েছি কাজ আনতে কষ্ট কম হয়। ৯০ ভাগ কাজ পাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি যোগযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। পদ্মা সেতু তার বড় উদাহরণ। তিনি বঙ্গবন্ধুর বেটি। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ পারে।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান খানের প্রশংসা করে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, উনি কায়েতপাড়ায় অনেক কাজ করেছেন বিধায় স্বর্ণপদক পেয়েছেন। উনি একটা করে গেছেন আমরা তারপর থেকে করে উন্নত জায়গায় নিয়ে গেছি। ঢাকা থেকে অনেকেই আসে খান বাড়ি দেখতে। এই এলাকায় এত সুন্দর বাড়ী আর নাই। আমরা এসেছি খানবাড়িতে। নুরুজ্জামান খান সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ। তিনি আমাদের অতিথিদেরকে অনেক অ্যাপায়ন করেছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, শোকের মাসে আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবো। তিনি এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই আমরা এতো উন্নয়ন করতে পারছি।

অনুষ্ঠানে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শিল্পপতি নুরুজ্জামান খাঁন, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: জাহেদ আলী, চৌমুহনী সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, কর্নেল (অবঃ) কামরুজ্জামান খান, কায়েতপাড়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিন, ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিনা আক্তার রিতা, ওমর ফারুক ভুঁইয়া, মানিক আহমেদ, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক শীলা রাণী পাল, আওয়ামী লীগ নেতা শ্রী রবী রায়, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলালীগ সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ