আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চিদাম্বরমের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি  আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরমের গ্রেফতারের পদ্ধতি নিয়ে মুখ খুলেছেন  ।

বৃহস্পতিবার রাজ্যটির পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ‘আমার মনে হয়েছে কখনও কখনও প্রক্রিয়াটি ভুল। আমি আইনি বিষয় নিয়ে কথা বলছি না। কিন্তু চিদাম্বরম একজন শীর্ষ রাজনীতিবিদ। তিনি দেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেভাবে এই বিষয়টিকে পরিচালনা করা হয়েছে সেটা খুবই হতাশাজনক, দু:খজনক। প্রত্যেকেরই জানা উচিত যে আমাদের দেশে চারটি স্তম্ভ আছে- প্রথমত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, দ্বিতীয়ত নির্বাচন কমিশন, তৃতীয় গণমাধ্যম এবং চতুর্থত বিচারবিভাগ। আমরা আজ আমাদের দেশের গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি খুব অনুভব করছি। গণতন্ত্র আজ কাঁদছে। আইনি বিষয় নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে গেলে ‘বিচারে বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে।’ গণমাধ্যম পুরোপুরি ভাবে বিজেপির মুখপাত্র হয়ে গেছে। বিজেপি যাই বলছে তাই করে দেওয়া হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, টানটান উত্তেজনা শেষে বুধবার রাতে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রাতে তাঁকে রাখা হয় সিবিআই’এর সদর দফতরের লক আপ স্যুইট থ্রি-তে।

এদিন বিকালে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় চিদাম্বরমকে। তার হয়ে প্রশ্ন করতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বর, অভিষেক মনু সিংভি ও বিবেক তনখা। আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী নলিনী চিদাম্বরম ও পুত্র কার্তি চিদাম্বরম। সিবিআই’এর আইনজীবীরা চিদাম্বরমকে তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আর্জি জানিয়েছেন। যদিও বিচারক অজয় কুমার এখনও পর্যন্ত তার কোন রায় দেননি। রায়টি আপাতত সংরক্ষিত রয়েছে।

এদিকে চিদাম্বরমের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ভারত জুড়েই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। রাগের বহি:প্রকাশ হিসেবে কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুতুলও পোড়ানো হয় ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ