আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চিকিৎসকের অবহেলায় নারীর মৃত্যু,হাসপাতালে হাতাহাতি

চিকিৎসকের অবহেলায় ফতুল্লায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।  ৮ আগস্ট রাতে ফতুল্লার পাগলা বাজার এলাকার গ্রীণ ডেলটা হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালটিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ একজন চিকিৎসককে মারধর করেছেন নিহতের বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা।

নিহত আলিসা (২৩) কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার ফজল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে এবং টেক্সটাইল মিল কর্মচারী নিয়াজুলের স্ত্রী।

নিহতের চাচা সাইফুল ইসলাম জানান, “ভাতিজা স্ট্রোক করলে তাকে প্রথমে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে দু’দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসি। পরবর্তীতে পাগলা এলাকার সম্রাট মেডিসিন সেন্টারের জনৈক আলমাস জানান, ‘ঢাকা নেয়ার দরকার নেই। আমাদের গ্রীন ডেলটা হসপিটালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অভিজ্ঞ চিকিৎসক বসেন’। তার পরামর্শে ৩০ জুলাই প্রথমদিন গ্রীন ডেলটা হসপিটালের চিকিৎসক মো. জসিম উদ্দিনের কাছে আলিসাকে নিয়ে আসি।”

তিনি জানান, “প্রথমদিন ডাক্তার জসিম উদ্দিন বেশ কিছু টেস্ট দেন এবং ওষুধ লিখে দেন। এক সপ্তাহ পরে নিয়ে আসতে বলেন। পরবর্তীতে ৬ আগস্ট আবারও আমরা ডাক্তার জসিম উদ্দিনের সরণাপন্ন হই। এদিন তিনি ভাতিজিকে স্যালাইন দেন। তখন তার কাছে ভাতিজির শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সুস্থ হয়ে যাবে দুই একদিনের মধ্যে। এরপরও যদি মনে করেন হচ্ছে না তাহলে যেখানে ভালো মনে করবেন নিয়ে যাবেন।”

সাইফুলের দাবি, “সর্বশেষ ৮ আগস্ট বুধবার আমার ভাতিজির অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় গ্রীন ডেলটা হসপিটালে নিয়ে আসি। আনার পর তারা ইসিজি করান। এবং কিছুক্ষণ পর রাত ৯ টার দিকে তারা আমাদেরকে জানান রোগী মারা গেছেন।”

তিনি অভিযোগ করেন, “ডাক্তারের অবহেলার কারণে আমার ভাতিজি মারা গেছেন। তিনি আমাদেরকে রেফার্ড না করে নিজের কাছে রেখেই চিকিৎসা করাতে বাধ্য করেন। এটা হসপিটাল না একটি কসাইখানা। আর তা যদি না হতো তবে, আগেই তারা আমার ভাতিজিকে রেফার্ড করে দিতেন। তাদের ব্যবসার জন্য আমরা আমাদের ভাতিজিকে হারিয়েছি।”

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, “আমরা এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনো পক্ষ থেকেই আমাদেরকে কিছু বলেনি। এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করতে আসেনি।”

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ