আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঘুরে দাড়াতে চমক দেখালেন না.গঞ্জ বিএনপি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঘুরে দাড়াতে ফের মরিয়া। সর্বশেষ ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে চলতি বছরের ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল ,যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল,  স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজেদের অবস্থানের জানান দিয়েছেন। বিএনপি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারই কৌশল হিসেবে মঙ্গলবার ২৪ শে ফেব্রুয়ারি পূর্ব কমিটি বিলুপ্ত করে অনেকটা চমক দেখিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নতুন আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেন। জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম পান্নাকে ফতুল্লা থানা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি করা হয়। প্রসঙ্গত এর আগে  থানা বিএনপি’র সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয়তাবাদী দলের হেভিওয়েট নেতা শিল্পপতি মোঃ শাহ আলম।তাই নবগঠিত কমিটিকে নিয়ে সর্বত্রই চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। শহরে নতুন কমিটিকে কেউ কেউ  সাধুবাদ জানালেও  অনেকেই তা সহজভাবে মেনে নিচ্ছে না । জানা গেছে জেলা কমিটির সাথে কোন প্রকার পরামর্শ ছাড়াই জেলা বিএনপি’র সভাপতি জনাব কাজী মনিরুজ্জামান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ অনেকটা তড়িঘড়ি করেই এই কমিটি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে জেলা কমিটির বাকি সদস্যদের মধ্যে একটি চাপা ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপি’র একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন বিতর্কিত আজাদ ও পান্নার নেতৃত্বে ফতুল্লার বি এন পির কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমন্বয় না করায় এই কমিটি গণতন্ত্র মোতাবেক শুদ্ধভাবে হয়নি বলে অনেকেই মনে করছেন। আহবায়ক কমিটিতে মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন বাবুল, এম এ আকবর,ওমর আলী,সুমন আকবর, একরামুল কবির মামুন, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী,আলাউদ্দিন বারী, আবু তাহের মোল্লা ,মাহমুদুল হক আলমগীর,নাদিম হাসান মিঠু, আল আমিন সিদ্দিক, আবুল হোসেন, হাবিবুর রহমান রিপন,আমজাদ সিকদার,মন্টু মিয়া,বোরহান উদ্দিনকে যুগ্ম আহ্ববায়ক করা হয় ।

এ ব্যাপারে জানতে জেলা বিএপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানান-সভাপতি শাহআলম সাহেব তার পদ  থেকে পদত্যাগ করেছেন,তাই কমিটি শুন্য রাখার কোন সুযোগ নাই।তাই নতুন করে কমিটি করা হয়েছে।মুলত ফতুল্লা থানা কমিটিকে শক্তিশালী করার জন্য এই কমিটি করা হয়েছে।যাদেরকে এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই বিএনপির পুরনো নেতাকর্মী,ছত্রদল,যুবদল এমনকি মূল দল করার অভিঞ্চতা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে সক্রিয় করতে মূলত জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই আহ্বায়ক কমিটি করে সবাইকে চমক দেখিয়েছেন । যেহেতু দীর্ঘদিন পরে একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে তাই ফতুল্লা থানা বিএনপি নতুন উদ্যোমে দলের জন্য কিছু করতে পারবেবলে আশাকরছি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ