আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গুদারাঘাটে ভাড়া বেশী

নাদিম হাসান:

মহামারী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারিভাবে কড়া নির্দেশনা দেয়া হলেও এর কোনো বাস্তবায়ন হচ্ছে না বন্দর ১ নং খেয়া ঘাটে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রতিটি মানুষকে অন্তত তিন ফুট দূরত্বে থাকতে বলা হলেও নৌকা পারাপার করা যাত্রীরা তিন ইঞ্চিও মানছে না। ট্রলার বন্ধ থাকায় নৌকায় দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে ভিড়ের মধ্যেই গাদাগাদি করে নদী পারাপার হচ্ছে মানুষ।
রবিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রলার বন্ধ ও ঘাটে পর্যাপ্ত পরিমান নৌকা নেই। তবে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। মানুষের তুলনায় নৌকা কম হওয়ায় এক নৌকাতেই ঠাসাঠাসি করে নদী পার হয় যাত্রীরা। আর এই সুযোগে মাঝিরাও নৌকা ভাড়া বাড়িয়েছে দ্বিগুন। কিন্তু ভাড়া বাড়লেও কমেনি অতিরিক্ত লোক নেওয়া। মাঝিরা জনপ্রতি দশ টাকা করে পাঁচ জন লোক নিয়ে নৌকা ছাড়ার কথা বলে নিচ্ছে দশ থেকে পনের জন। তাছাড়া কোন ছোট বস্তা বা ব্যাগ নিয়ে নদী পার হতে হলে গুনতে হয় অতিরিক্ত আরো দশ টাকা। প্রতিটি বস্তা বা ব্যাগ নৌকায় তোলার জন্য ঘাট জমা দিতে হয় দশ টাকা ও নদী পাড় হতে নৌকায় দশ টাকা এবং ঘাট পার হওয়ার পরে আবারো ঘাট জমা দিতে হয় আরো দশ টাকা।
এতে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানুষের কাছ থেকে ঘাট জমার নামে চাঁদা বাজি করা হচ্ছে। বন্দর মাহ্ামুদনগর এলাকার বাসিন্দা আলমগির মিয়া বলেন, আগে ঘাট দিয়ে মালামাল আনতে হলে কোন ঘাট জমা দিতে হত না । তবে এখন কেন আমাদের কাছ থেকে জোর করে দুই বার ঘাট জমা নেওয়া হচ্ছে। তারা ঘাট জমার নামে চাঁদাবাজি করছে।
পোশাক শ্রমিক রবিউল বলেন, সবে মাত্র কারখানা খুলেছে পকেটে তেমন টাকা নেই। তার উপর নদী পার হতে নৌকায় দিতে হয় দশ টাকা। পাঁচ জন লোক নেওয়ার কথা বলে যাত্রীদের কাছ থেকে দশ টাকা করে নিলেও মাঝি তার ইচ্ছে মত লোক উঠাচ্ছে নৌকায়। মাঝিকে কিছু বললে উল্টো যাত্রীদের উপর ক্ষেপে যায় মাঝি। বলে নৌকা থেকে নেমে যান। তাই মাঝিদের কেউ কিছু বলতেও পারে না।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক মাঝি জানায়, ঘাটে নৌকা কম ট্রলারও বন্ধ থাকায় মানুষের ভীড় একটু বেশি হয়। যখন লোক কম থাকে নৌকায় দশ টাকা করে পাঁচ জন উঠাই। কিন্তু মানুষ যখন বেশি থাকে তখন তারা আমাদের কথা শুনে না । জোর করে দশ পনের জন উঠে পরে। তাদের না করলেও তারা তা মানে না।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ