আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দীর্ঘ বিরতির পর গানে ফিরছেন নবনীতা

গানে ফিরছেন নবনীতা

গানে ফিরছেন নবনীতা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

জনপ্রিয় রাজনৈতিক টক শো রাজকাহন-এর সঞ্চালক ও সাংবাদিক সংগীতশিল্পী নবনীতা চৌধুরী। রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের ছাত্রী নবনীতা চৌধুরী। কৈশোর থেকেই লালন আর লোকগানের চর্চা শুরু করেন তিনি। জীবনসঙ্গী লাবিক কামাল গৌরবের সঙ্গেই গানে জুটি বেঁধেছেন তিনি।

দীর্ঘ বিরতির পর নতুন অ্যালবাম নিয়ে আসছেন নবনীতা চৌধুরী। অ্যালবামটির টাইটেল ট্র্যাক হাসন রাজার বিখ্যাত গান ‘আহারে সোনালি বন্ধু’। যা ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে।

২০০৭ সালে আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীতায়োজনে তার প্রথম অ্যালবাম ‘আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী’ প্রকাশিত হবার পর এবার আজব ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল গৌরবের সংগীতায়োজনে নতুন অ্যালবাম নিয়ে হাজির হচ্ছেন নবনীতা। খুব শিগগিরই জি সিরিজের ব্যানারে অ্যালবামটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

দীর্ঘ বিরতির পর নতুন অ্যালবাম প্রসঙ্গে নবনীতা বলেন, ‘লন্ডনে প্রবাসী সিলেটিদের আয়োজনে লোকগানের শিল্পীদের নানা আসরে গিয়ে সিলেটি গানের প্রতি ভালবাসার সূচনা। সিলেটি গানের প্রেম, সরলতা, সুরের গভীরতা, লয়ের দোলা বুকের ভেতর এক অন্য হাহাকার তৈরি করে। তখন থেকেই হাসনরাজা, রাধারমন সহ সিলেটের নানা লোক কবিদের গাওয়া একটু কম চর্চিত আর অশ্রুত গান গলায় তুলে গাইতে শুরু করি আর সেসব গান গৌরবের সঙ্গে তার গিটার -দোতারায় তুলে মঞ্চে একসঙ্গে বাজাতে আর স্টুডিওতে রেকর্ড করা শুরু করি আমরা।’

অ্যালবামের টাইটের ট্র্যাক প্রকাশ করা প্রসঙ্গে নবনীতা বলেন, ‘জি সিরিজের প্রযোজনায় খালেদ ভাইয়ের উৎসাহে এই ঈদে ‘আহারে সোনালি বন্ধু’ গানটি প্রকাশ করার কারণটা আসলে দর্শক-শ্রোতারা কীভাবে গ্রহণ করেন তা বোঝার প্রয়াস। এখন তো শুধু গান ছাড়লেই হয়না, ইন্টারনেটে সেটা দর্শক-শ্রোতার কাছে কীভাবে পৌছাবে, সেটাও বিষয়। এখন ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ক্লিক করলেই শোনার ব্যবস্থা না করলেই নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারই প্রথম গৌরবের সংগীতায়োজনে ভিডিও সহ গান লঞ্চ করলাম, আর দারুণ সাড়া পেয়েছি। এখনো ইউটিউব বা এরকম ফ্রি প্লাটফর্মগুলোয় গানটি নেই, জিপির ফেসবুক প্লাটফর্মে এক্সক্লুসিভলি আছে, তাতেই দেড় লাখের বেশি মানুষ গানটি দেখেছেন ১২ দিন সময়ে। মানে এখনো কাউকে জানানও দেওয়া হয়নি ভাল করে তাতেই, মানুষ এত পছন্দ করছেন ৫৫০ এর বেশি মানুষ শেয়ার করেছেন, আমরা মানুষের ভালবাসায় অভিভূত, অনুপ্রাণিত।’

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ