আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গরু কিনতে ফার্মে ঝুকছে মানুষ.

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ফার্মের দিকেই বেশি ঝুকছে মানুষ। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন ফার্মগুলোতে এবার ওজন দিয়ে বিক্রি হচ্ছে গরু। এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধ করতে ইতিমধ্যেই হাট না বসানো সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কারিগরি কমিটি। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন থেকেও এখনও পর্যন্ত হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে গরুর ফার্ম ব্যবসায়ীদের লাভবান হওয়ার সম্ভবনাই এবার বেশি।

সরেজমিনে সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু ফার্ম ঘুরে দেখা গেছে মানুষের ব্যপক আনাগোনা। গরু কিনতে এখন থেকেই ফার্মগুলোতে ঘুরছে মানুষে। পছন্দ হলেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

এ বিষয়ে দেশি এগ্রো ফার্মের পরিচালক আহসান হাবিব সংবাদচর্চাকে জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে এখনও পর্যন্ত হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়নি। শেষতক দেয়া হবে কিনা তা আমাদের জানা নেই। তবে, ফার্মে ঈদানিং মানুষের আনাগোনা খুবই বেড়েছে। মানুষ আসছে, দেখছে, পছন্দ হলে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ১ থেকে ৩টি গরু বিক্রি করছি আমরা। যদিও কোরবানির ঈদ আসতে এখনও অনেক সময় বাকি আছে। ঈদের আগের ১০ দিনে বোঝা যাবে সবকিছু। তবে, গতবছরের তুলনায় এবার আমাদের কম দামেই গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়াও গরুর খাবারের দাম খুবই বেশি। সবমিলিয়ে অনেক লাভ না হলেও মোটামোটি হয়ে যাবে আমাদের।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জে পশুর হাট না বসানোর সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কারিগরি কমিটি। এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, এ অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধ জীবনযাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টেকনিক্যাল কমিটি। কমিটি ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরামর্শ দেয়। ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সুপারিশ করেছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে যেন পশুর হাট স্থাপন করা না হয়। এক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু কেনাবেচার কথা বলেছে কমিটি। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় সংক্রমণ প্রতিরোধ নীতিমালা পালন সাপেক্ষে কোরবানি পশুর হাট বসানোর কথা বলেছে কমিটি।

সচেতন মহল বলছেন, যেহুতু এখনও পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে আসেনি সেহুতু এই মুহুর্তে রিস্ক না নেয়াই ভালো। গরুর হাট বসালে স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে জনসমাগম ঘটবে। এতে করে ঝুঁকি আরও বেড়ে যাতে পারে। তার চেয়ে ভালো সীমিত আকারে দু’একটি হাট আর গরুর ফার্মগুলোকে সক্রিয় করা। এতে করে সকলেই নিরাপদ থাকবে আর সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ