আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গণবিরোধী শক্তি পরাজিত হবেই: ড. কামাল

তাওসিফ মাইমুন: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই মুহুর্ত থেকে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী দেশবাসীর পাশে দাঁড়াবে। আশা রাখি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গণবিরোধী শক্তিকে সহায়তার পথে হাঁটবে না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে গণবিরোধী শক্তি পরাজিত হবেই।

গতকাল সোমবার বিকেলে পুরনো পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

‘‘মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনকারী আমাদের গর্ব সেনাবাহিনী বিশ্বব্যাপী শান্তি মিশনে কৃতিত্বের সঙ্গে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশে নিরাপদ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতি তাদের কাছে সে ভূমিকাই প্রত্যাশা করে।’’

তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠু অবাধ নিবাচন চাই, যাতে আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষ ন্যায়বিচারসহ গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার ফিরে পায়, আমরা সেই ধরনের সরকার দেখতে চাই।

ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশব্যাপী সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির কঠিন দায়িত্ব সেনাবাহিনীর উপর ন্যস্ত। দেশে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে নীলনকশা চলছে, সেটা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ও শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এমনটা হলে দেশ ও জাতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

তিনি বলেন, চলমান নির্বাচনী প্রচারণার আগেই চিহ্নিত একটি মহল নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছে। বল প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোর প্রার্থীদের প্রচার কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। শুরু থেকেই বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা নির্বিচারে সাঁড়াশি আক্রমণের শিকার হচ্ছেন প্রায় প্রতিনিয়ত।

ড. কামাল অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দল, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, আইন-আদালত সবকিছুই যেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিপক্ষ। চতুর্মুখী আক্রমণ মোকাবিলা করেই ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের মাটি কামড়ে নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকতে হচ্ছে। ঐক্যফ্রন্ট চায় স্বাধীন দেশের নাগরিকরা নিরাপদে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিক।

তিনি বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে পরিবর্তনের পক্ষে। জনগণ গণ বিরোধী শক্তিকে সবসময় পরাজিত করেছে। ইনশাল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর আমরা রায় পাবো। আমরা আশা করবো জনগণের সবার স্বার্থ দেখে এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে দেশে।

সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

এতে আরো বলা হয়, একদিকে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে দেয়া হচ্ছে না। অপরদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসতে দেয়া হচ্ছে না। জাতিংসঘের মানবাধিকার সংস্থা দেশের চললমান বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নির্বাচন কমিশন চলমান নৈরাজ্যের দায় এড়াতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশায় পরিণত করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ