আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিবো’

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিবো, কোটা সংস্কারের দাবি আদায় করে ছাড়বো ইনশা আল্লাহ। সারাদেশে চলমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্যে এসব কথা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সেতু।
সোমবার (৯ এপ্রিল) বিকাল চারটায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাধারন শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র ইউনিয়নের জেলা কমিটির সভাপতি সুমাইয়া সেতু বলেন, আমরা কোটা প্রথার বিরোধি নাই। কোটার কিরুদ্ধে হচ্ছেনা চলমান আন্দোলন। আমাদের আন্দোলন হচ্ছে কোটা প্রথার সংস্কারের জন্য যৌক্তিক আন্দোলন। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মিলিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধি নই। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা এদেশ কোটার জন্য স্বাধিন করে নাই।
জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের উক্তির সাথে যুক্ত করে সুমাইয়া সেতু বলেন, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিবো, কোটা সংস্কারের দাবি আদায় করে ছাড়বো ইনশা আল্লাহ।
আমরা কোনো দলের বিরুদ্ধে নই, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তাহলে আজ বৈষম্য কেন।
সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষাথী মুন্নী বলেন, আজ নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে আমরা অবস্থান করছি, কোটা সংস্কারের দাবিতে। মুক্তিযোদ্ধারা কি কোটার জন্য যুদ্ধ করেছিল প্রশ্ন করে এই শিক্ষার্থী বলেন, আজ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম করে নাতিপুতি, মেধাহীন শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকুরিতে সুযোগ পাচ্ছে। মেধাবিরা অকালে ঝড়ে যাচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে বর্তশান কোটা প্রথার সংস্কার করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী শুভদেব বলেন, কোটা সংস্কার এর দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীসহ সারা দেশের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। শান্তিপূর্ন যৌক্তিক আন্দোলন চলাকালে গত রাতে আমাদের নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লাটি চার্জ করেছে, রক্তাক্ত করেছে। এর তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আমরা বলতে চাই, আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধি শক্তি নই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আমরা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিনা। আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করছি। কোটা প্রথা সংস্কার করে ১০% করা হউক। এই দাবি আজ দেশের সব শিক্ষার্থীদের দাবি। আমরা আহবান জানাই এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিবে। আমরা কোনো আশ্বাস নয় এর সঠিক বাস্তবায়ন চাই।
নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী মনির হোসেন বলেন, ৫৬% কোটার পর বাকি যা থাকে তাতে মেধাবিরা সুযোগ পাচ্ছেনা। তিনি বলেন যারা এই যৌক্তিক আন্দোলনে জড়িত তাদের উপর কেন হামলা করা হলো।
সমাবেশ থেকে আগামিকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জাহিদুল ইসলাম, ইলিয়াস জামান, ফারজানা, বোরহান উদ্দিন, রুবেল, সানি, ফয়সাল, নাসিম প্রমুখ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ