আজ মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘কেউ বিভক্তি দেখাবেন না’

টি.আই.আরিফ

গরম হচ্ছে রূপগঞ্জ। জেগে উঠেছে নেতাকর্মীরা। বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট। রূপগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রশাসন ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি সভা করেছে। রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের নেতৃত্ব্ েঐক্যবদ্ধ রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় সফল করার লক্ষ্যে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। করোনা পরবর্তী এই প্রথম কোন উপজেলায় স্বশরীরে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। আর সেটা রূপগঞ্জ। নেত্রীর পছন্দ রূপগঞ্জ। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নেত্রী আসবে। এর আগে তিনি পহেলা জানুয়ারি রূপগঞ্জে এসেছিলেন। দুই মাসের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রূপগঞ্জে দুইবার আসবে কেউ ভাবতে পারেনি। অনেকে স্থানীয় সাংসদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের প্রশংসা করছে। তাকে নেত্রীর বিশ^স্ত সৈনিক মনে করা হয়। ভোটের আগে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান রূপগঞ্জকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। মন্ত্রীও নেত্রীর কাছে এলাকার উন্নয়নসহ কিছু দাবি তুলে ধরছে। দলীয় নেতাকর্মীসহ রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে। নেত্রীর আগমনের খবরে রূপগঞ্জে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরী হয়েছে। গেল ১৬ জানুয়ারি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা করেছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। নেতার কথমত কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এখন প্রধান টার্গেট লোক নিয়ে সবাই প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাবে। এতে ক্ষমতাসীন দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ছে।
আলোচনা সভায় রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। নেত্রীর জনসভায় রূপগঞ্জ থেকে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, দয়া করে কেউ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বিভক্তি দেখাবেন না। সেদিন আমাদের একটাই শ্লোগান শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা। বাইরের শ্লোগান চলবে না। অনেকে শকুনের ডাক দেবে, দয়া করে কেউ সারাদেবেন না।

রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগ সভাপতি ও তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দশনা দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের কেউ আঘাত করলে তাকে দেখে রাখবেন। আরও নির্বাচন আসবে। তখন দেখা যাবে। এখন কেউ বিশৃঙ্খলা করবেন না। সবাই শেখ হাসিনার শ্লোগান দেবেন। আমরা নেত্রীকে দেখিয়ে দেবো রূপগঞ্জের মাটি শেখ হাসিনার ঘাঁটি, রূপগঞ্জের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আমরা আবার ক্ষমতায় যাবো। রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ এখন অনেক শক্তিশালী।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ