আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কিছুটা হলে যন্ত্রনা লাঘব হয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত ৩৭ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। এতে কিছুটা হলে যন্ত্রনা লাঘব হয়েছিলো হতাহত পরিবারের সদস্যদের। তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ সে আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।

তিতাসের আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে তল্লার বাইতুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭ পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৭ দিনের মধ্যে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এই টাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে দিতে বলা হয়। সে সময় জেলা প্রশাসককে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে এ টাকা বিতরণ করতে বলা হয়। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

তল্লায় বাইতুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। এ রিট দায়েরের ফলে হাইকোর্ট আপাতত ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলো। তবে নির্দেশের খবর পেয়েই তিতাস কর্তৃপক্ষ বলেছিলো তারা আপীল করবে।

৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত বেশীরভাগ ছিলেন পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তি। এমন মত্যৃতে বড্ড অসহায় হয়ে পরে পরিবারগুলো। যে গেছে সে ফিরে আসবে না এমন বাস্তবতা মেনে নিলেও অজানা ভবিষ্যতের শংকায় পেয়ে বসে তাদের। ৫ লাখ টাকা পাওয়ার খবরে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে তাদের মনে। তবে তারা আশাবাদি আদালাতের ন্যায় বিচার পাবেন তারা।

গতকাল আদালতে তিতাস গ্যাসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ