আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কালীবাজারের প্রবীর হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: শহরের কালীরবাজারে আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে হয়েছে। রবিবার (১২ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে সর্বশেষ এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণে এদিন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তিনি মামলাটির শুরুর দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার প্রধান ৩ আসামী পিন্টু দেবনাথ, বাপেন ভৌমিক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজের পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন  জানান, রবিবার মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার সাক্ষ্য প্রদানের মধ্য দিয়েই এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। আগামী রবিবার আসামীদের চীফ অডিটর করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে দেয়া সাক্ষ্যে তাদের কিছু বলার আছে কিনা সেই সুযোগ প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। পরে গত ৯ জুলাই সড়কে শহরের কালীরবাজার এলাকা থেকে পিন্টু দেবনাথ ও বাপানে ভৌমিক বাবুকে গ্রেফতার করে ডিবি। তাদের দেওয়া তথ্য মতে রাতেই শহরের আমলাপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীর ঘোষের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

হত্যার জবানবন্দীতে পিন্টু জানায়, ঈদ উপলক্ষে শান্ত পরিবেশ থাকা প্রবীর চন্দ্র ঘোষকে ১৮ জুন রাতে বিয়ার পানের কথা বলে তার বাসা থেকে বের করি। পরে আমার ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে বসাই। সেখানে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে থাকি একত্রে। ওই সময়ে আগে নেওয়া স্প্রাইট পান করে প্রবীর। খেয়েছিল বিস্কুটও। খাওয়ার সময়েই আমি তাকে পিছন থেকে আগে থেকে কেনা চাপাতি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করি। তখন প্রবীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় প্রবীর আমাকে কয়েকদফা লাথি মারতে থাকলে ওরে আবারো লাঠি ও দা দিয়ে আঘাত করতে থাকি। এ সময় প্রবীর রক্তাক্ত অবস্থায় টিভি রুমের খাটে লুটে পড়ে। শরীর ঢেকে দেওয়া হয় বালিশ ও চাদর দিয়ে। পরে ধারালো চাপাতি দিয়ে তার দেহ’কে ৭ টুকরো করা হয়। মাথা, দুই হাত, দুই পা, বডি, পেট ও পাজর ৭টি খন্ড করে বাজার থেকে ক্রয়কৃত ৭টি নতুন আকিজ সিমেন্টের ব্যাগের মধ্যে ৪টিতে টুকরো টুকরো লাশ ভরি। আরেক ব্যাগে বালিশ, খাটের চাদর, ব্যবহার করা জামা ও দা প্যাকেট করি। পরে ঘরের বাথরুমে রক্তাক্ত ও নিজে গোসল করি। পরিবেশ শান্ত অবস্থায় আনুমানিক সাড়ে ১২টায় বাসা নিচে পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংকটিতে ৩ ব্যাগে থাকা ৫ টুকরো ঢুকাতে শুরু করি। আরেকটি ব্যাগ বাড়ির উত্তর পাশে ময়লাস্তূপে সাথে ড্রেনে মাথায় ফেলে দেই। কাজ শেষ করে বাসায় হাত পরিস্কার করে ফের প্রবীর চন্দ্র ঘোষের বাড়িতে রাত দেড়টার দিকে ছুটে যাই। রাতেই শীতলক্ষ্যা নদীতে এসে ফেলে দেই চাপাতি, বিছানার চাদর আর বালিশ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ