আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কারও সাথে কোন বিরোধ নাই: নাওড়াতে মন্ত্রী গাজী

নবকুমার:

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক নাওড়াবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, নাওড়া গ্রামে আমি ২০০৬ সালে এসেছিলাম। তখন কোনো রাস্তা খুঁজে পায়নি। আমি ট্রলার দিয়ে এসেছিলাম। ট্রলার দিয়ে এসে আপনাদের কাছে ভোট চেয়ে ছিলাম। ২০০৮ সালে আমি যখন নির্বাচনে জয় লাভ করলাম তখন আমি দেখলাম কয়েকটা সেন্টারে আমি হেরেছি। নাওড়াতেও আমি হেরেছি। আমি তখন বললাম কেন নৌকা পাস করেনি এটা আমার জানা দরকার। এমপি হওয়ার পর আমি নাওড়া এসেছিলাম। আপনাদের গ্রামে কোনো উন্নয়ন ছিলো না। তখন আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করলাম আমি আজকে যাচ্ছি , এরপরে আমি যদি রাস্তা করতে পারি সেই রাস্তা দিয়ে আমি এখানে আসবো নইলে আমি আর নাওড়া কোনদিন আসবো না। তারপরে আমি রাস্তা করে নাওড়া এসেছিলাম। কারণ আমি আপনাদেরকে অন্তর থেকে অনেক ভালোবাসি। আমি কারও ক্ষতি করিনি। আমার শিল্পকারখানার আয় দিয়ে আমি চলি। কোন জায়গায় আমি চাঁদাবাজি করি না। আমি জনগণকে ভালোবাসি। এরপর যতবার ভোট হয়েছে আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে পাস করিয়েছেন। এই জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন নাওড়ায় উন্নয়ন হচ্ছে। অনেক ঘটনা আছে আমাদের মাঝে, যত ঘটনা থাকুক আমরা শান্তি চাই। অতীতে কি হয়েছে সব ভুলে যেতে হবে। সামনে নির্বাচন সবাই মিলেমিশে কাজ করে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। কারও সাথে কোনো বিরোধ নাই, নৌকার জন্য সবাই এক। নৌকার জন্য কোনো বিরোধ রাখা যাবে না। আমরা বিরোধ ভুলে গিয়ে সবাই নৌকার নির্বাচন করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবার প্রধানমন্ত্রী করবো। উন্নয়নের শেষ নাই। আমি আপনাদের শান্তি চাই। আপনারা বিরোধ ভুলে যান, শান্তিতে বসবাস করেন। শান্তি নিজের কাছে। নৌকার জন্য শান্তি আনতে হবে। আসুন সবাই মিলেমিশে আমরা কাজ করি। সেই কাজ করে আমরা নৌকাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমাদের কোনো বিরোধ নাই। কেউ কারও বিরুদ্ধে আজ থেকে কথা বলবেন না। যদি কোন সমস্যা থাকে আমাদের প্রশাসন আছে ,প্রশাসন তা দেখবে। আমরা নিজেরা আইন হাতে তুলে নেবো না। আমরা সরকারের উন্নয়ন কাজ প্রচার করবো। আমরা নির্বাচনের জন্য রেডি হবো। জনগণের কাছে যাবো। আমার বিরোধ যার সাথে আছে তার কাছেও যাবো তার সঙ্গে আলাপ করে যাতে ভোট আমরা আনতে পারি সেই ব্যবস্থা করবো। সবাই বিরোধ ভুলে শান্তির জন্য অবস্থান নেন। ২০২৩ সালে নির্বাচন। আগামী নির্বাচন ২০০৮ সালের মতো না হয়। আট সালে কিন্তু আমরা নাওড়াতে পরাজিত হয়েছিলাম। এবার যেনো আমরা নির্বাচনে জয়লাভ করি। জনগণ এখন উন্নয়নের পক্ষে আছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বেশি ভালোবাসেন। তৃণমূলের সমস্যা তিনি দেখেন। আমাদেরকে সব সময় বলে তোমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে যাবে। ওরাই আমার আসল লোক। বঙ্গবন্ধুর কন্যার কাছ থেকে আমরা তৃণমূলকে ভালোবাসতে শিখেছি। তিনি বলেন অফিসে এসি রুমে বসে রাজনীতি করবে তা চলবে না, গ্রামে-গঞ্জে যাবে তাদের কি সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করবে। তাহলে ভোট পাবে। বঙ্গবন্ধু গ্রামে গ্রামে গিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন। আমি আপনাদের (নাওড়াবাসী) উন্নয়ন করতে চাই। আপনাদের উন্নয়নের জন্য যা যা দরকার আমি তাই করবো। যে মা সন্তান জন্ম দেয় সেই মা ওই সন্তানকে হত্যা করতে পারে না। আমি আপনাদের গ্যাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। গ্যাসের লাইন আমি কাটি নাই। আমি আপনাদেরকে ভালোবাসী। যখন সুযোগ আসবে তখন গ্যাসের ব্যবস্থা করে দেবো। আপনারা ভালো থাকবেন। আগামীতে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে আপনারা ভোট দেবেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা তৃণমূলসহ সবার নেতা। তিনি বলেন তৃণমূলের কাছে যাও। আমার কাছে এসে চেহারা দেখিয়ে লাভ নাই। তৃণমূল তোমাকে চাইলে আমিও তোমাকে চাই। আমি কত টুক জনপ্রিয় গ্রামে গ্রামে তার গোয়েন্দা বাহিনী পাঠিয়ে জরিপ করে। গোয়েন্দা সংস্থা যার নাম বলে তিনি তাকে নমিনেশন দেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা সব বোঝেন, কে আসল লোক কে নকল লোক। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট দেখে তিনি কাজ করেন। সুতরাং উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা তাই আপনাদের কাছে নৌকায় ভোট চাই। আপনাদের ভোটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হবে।

গতকাল ১২ আগস্ট কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: শাহ্জাহান ভুঁইয়া, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ¦ মো: জাহেদ আলী, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ঠ শিল্পপতি নুরুজ্জামান খাঁন।
এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সাইফুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, শ্রী রবি রায়, মোঃ তরিকুল ইসলাম , জুলহাস মিয়া,খালেক মিয়া, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ওয়ান মোহাম্মদ বজলুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি মেহের ভুঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাইম ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক শীলা রানী পাল, রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি সেলিনা আক্তার রিয়া, ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য সেলিনা আক্তার রিতা, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল শিকদার, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো: ওমর ফারুক ভুঁইয়া, ইউপি সদস্য মানিক আহমেদ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশিক ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল হোসাইন রাসেল, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারন সম্পাদক নাজমুল খন্দকার হয়, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হোসেন অপু, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলালীগের সভাপতি জোসনা বেগম, সাধারন সম্পাদক আরজুদা বেগম, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবমহিলা লীগের সভাপতি শারমীন আক্তার রিমা, সাধারন সম্পাদক মরিয়ম আক্তার মলি, যুব মহিলা লীগ নেত্রী নাজমিন সুলতানাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন । পরে অতিথিবৃন্দ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ