আজ বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কসাইরা দাম কমালো না

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও কমেছে গরুর দাম। শহরের দোকান গুলোতে গোশতের দাম কমে নাই। খামারিরা জানান, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরুর দাম কমলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। বর্তমান বাজারের গরুর দাম অনুযায়ী ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কমে গরুর মাংস বিক্রি করার কথা বলে জানান তারা। তবে ক্রেতারা জানান, কসাইরা গরুর মাংসের দাম কমায় নাই।

নারায়ণগঞ্জ শহরের দিগুবাবু বাজারে গিয়ে দেখা যায় ৬০০ থেকে ৬৩০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে জেলার ভোলাইল গেউদ্দার বাজার, বক্তাবলীর রামনগর বিসমিল্লাহ বাজারে ৫৫০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করছে দোকানীরা। অথচ আলীরটেক বক্তাবলীতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২শ’ গরুর খামার আছে বলে জানা যায়। ফতুল্লা কেন্দ্রীয় বাজারে ৫৫০ থেকে ৬শ’ টাকায় বিক্রি হয় গরুর মাংস।

আলীরটেকের গরুর খামারী সোহেল জানান, আমার ৩০ টা গরু আছে। যা এবার গরুর হাটে বিক্রি করবো। করোনার আগে যেই গরু ৩ লাখ টাকা বিক্রি করতাম ওই গরু এখন দেড় লাখ টাকা দাম বলে। তাই অনেক খামারি বিপাকে আছেন। তিনি আরো বলেন, গরুর চাহিদা গত বছরের তুলনায় এবার অনেক কম। কেননা এ বছর কোরবানী দেয়ার মত লোক কম। তাই বাজরেও গরুর মূল্য অনেকটা কমে গেছে। যেহেতু গরুর দাম কম তাই এই সময়ে বাজারে গোশতের দাম কমানো উচিৎ।

একই এলাকার ইসমাইল বলেন, ছোট বড় মিলিয়ে আমার ৪০ টা গরু আছে। আলীরটেক, পুরান গোগনগর, গঞ্জকুমারিয়া, বক্তাবলীর রামনগর গ্রামে প্রায় ২শ’র মত গরুর খামারি আছে। তারা জানান ‘করোনা শুরুর পর থেকেই গরুর দাম কমে গেছে। কোরবানির ঈদ (ঈদুল আজহা) কাছাকাছি চলে আসলেও গরুর দাম বাড়ে নাই। স্বাভাবিক ভাবে করোনার আগের তুলনায় বর্তমানে মাংসের দাম কেজিতে ১৫০ টাকার উপরে কমে যাওয়ার কথা।’ কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও আমাদের এলাকায় তা হয় নাই। চড়া দামেই গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। যা ঠিক না।

দিগুবাবু বাজার গরুর মাংস বিক্রেতা শরীফ বলেন, ‘আমরা নিরুপায় হয়ে গরুর মাংস ৬শ’ থেকে ৬৩০ টাকায় বিক্রি করছি। এখন তেমন একটা বিক্রি নেই। বিক্রি না থাকায় কোনো কোনো ব্যবসায়ী নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। আর এজন্য অনেকে বেশি দামে মাংস বিক্রি করছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ