আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনায় সমর সাহার মৃত্যু

#খানপুরে অবহেলার অভিযোগ স্বজনদের

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
শহরের খানপুর তিনশ শয্যা হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সমর কুমার সাহা (৫৫) এক রোগি মারা গেছেন। সোমবার রাত আড়াইটায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ করোনার উপসর্গ নিয়ে খানপুর হাসপাতালে ভতির্র পর থেকেই অবহেলার শিকার হন রোগি। হাসপাতালে ভর্তি করার দুইদিনেও বেড কভার ও বালিশের কভার বার বার চেয়ে পায়নি বলে অভিযোগ করেন নিহতের ভাগিনা অরবিন্দ সাহা।
হাসাপাতালে দেয়া মৃত্যুর প্রমান পত্রে লেখা হয়েছে নগরীরর আমলাপাড়া এলাকার সুশেন্দ্র লাল সাহার ছেলে সমর কুমার সাহা (৫৫) গত ১ জুলাই করোনার উপসর্গ নিয়ে খানপুর তিনশ শয্যা হাসাতালে ভর্তি হন। পরের দিন কভিড ১৯ পরিক্ষায় করা হয়। ৩ জুলাই রেজাল্টে করোনা পজেটিভ আসে। ৬ জুলাই রাত দুইটা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সমর কুমার সাহা।

এ ব্যাপারে সমর কুমার সাহার ভাগিনা অরবিন্দু সাহা জানান, খানপুর তিনশ শয্যা হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের থাকা , খাওয়া থেকে শুরু করে সকল প্রকার ব্যবস্থা স্থানীয় সংসদ সদস্য দায়িত্ব নিয়ে করে দিলেও হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সরা রোগিদের প্রতি সে ভাবে দায়িত্ব পালন করছেনা। তিনি অভিযোগ করেন, তার মামাকে (সমর কুমার সাহা) গত এক জুলাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ভর্তি করান।

কিন্তু হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে যে বেডে তাকে রাখা হয়েছিলো সেই বেডে কোন বেড কভার ও বালিশের কভার ছিলোনা। দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সদের কাছে বার বার নতুন বেড কভার চেয়ে দুইদিনেও পাননি তিনি। যে কারনে ফোম বের হয়ে যাওয়া বেডেই তাকে দুইদিন থাকতে হয়েছে। এমনকি করোনা পজেটিভ রেজাল্ট আসার পর আইসোলোশন ওয়ার্ড থেকে করোনা পজেটিভ ওয়ার্ডের শয্যাতেও ছিলোনা বেড ও বালিশের কভার। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের দুরঅবস্থার কথা তুলে ধরতে লজ্জা লাগে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোববার দিবাগত রাত ২ টা ৩০ মিনিটে মামার মারাযাওয়া খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি করোনা পজেটিভ ওয়ার্ডের বাইরে একটি ট্রালির মধ্যে মামার (সমর কুমার সাহ) লাশ রেখে দেয়া হয়েছে ।

লাশের শরীরে একটি চাদর থাকার পরও তা দিয়ে লাশটি ডেকে দেয়া হয়নি। করোনা পজেটিভ লাশ নেয়ার জন্য পলিথিন প্যাচানো বা সুরক্ষা কভার বা ব্যাাগ হাসপাতালে নেই। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ¡ নার্সকে লাশ কি ভাবে নেবো জিজ্ঞাসা করলে তিনি ইমাজেন্সি থেকে লাশ বহনকারি ব্যাগ নিয়ে আসার পরমর্শ দেন। কিন্তু ইমাজেন্সিতে গিয়ে ব্যাগ না পেয়ে হতাশ হয়ে লাশ দাহ করার সাথে জড়িত স্থাণীয় ওরা ১১ জন নামক সেচ্ছাসেবি সংগঠনের নেতা রিপন বাওয়ালকে খবর দেন। পরে ওরা ১১ জন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা হাসপাতালে লাশ বহনের ব্যাগ না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস থেকে ব্যাগ সংগ্রহ করে ভোরে লাশ নিয়ে যান মাসদাইর শস্মানে । পরে ধমীয় রিতিনীতি অনুযায়ী সমর কুমার সাহার লাশ দাহ করা হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ