আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনায় চিন্তিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক

সংবাদচর্চা রিপোটঃ
মহামারী করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) এর কারণে সারা দেশের ন্যায় থমকে আছে নারায়ণগঞ্জের শিক্ষাখাতও। মানুষ গড়ার কারখানা স্কুল-কলেজগুলো বন্ধ রয়েছে গত ১৭ মার্চ থেকে। শীঘ্রই চালু হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। আর তাই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকরা রয়েছে দুশ্চিন্তায়। তবে শিক্ষাবীদরা বলছে, আগে জীবন তারপর লেখাপড়া, তাই আপাতত দুশ্চিন্তা না করে শিক্ষার্থীদেরকে বাসায় বসেই প্রস্তুতি নেয়া উচিৎ। তবে কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা অভিভাবকদের চিন্তা। আদরের সোনামণিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ চিন্তিত তারা।
এর গত ৩১ মে দেয়া হয়েছে দেশের এসএসসি পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট। পাশ করা শিক্ষার্থীরা রয়েছেন নতুন এক বিড়ম্বনায়। এমনিতেই প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট দেয়া হয় মার্চ বা এপ্রিলে। উচ্চমাধ্যমিকে পড়তে এপ্রিল থেকে জুন এর মধ্যে কলেজগুলোতে ভর্তি শুরু হয়। কিন্তু সেই হিসাবে এবার এক থেকে দুই মাস পর রেজাল্ট হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। তার উপর আবার করোনা ভাইরাসের কারণে সামনে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি শঙ্কা।
সদ্য এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই আমাদের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে দেরীতে। পরীক্ষার রেজাল্ট হাতে পেয়েছি ৩১ মে, কিন্তু এখনো আমরা ভর্তি হতে পারছি না।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত বিষয়ে কথা হলে শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিরা একই সুরে জানান, নিঃসন্দেহে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা এক কঠিন সময় পার করছে। তবে এ থেকে উত্তরণের বাড়িতে বসেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করেন তারা। তাদের মতে, জীবন আগে তারপর লেখাপড়া। তাই বাড়িতে থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান তারা।
এ বিষয়ে কথা হলে সরকারী তোলারাম কলেজের রসায়ন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও কুমিল্লা সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রতন কুমার সাহা বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের খুব একটা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। কেননা তারা ইতিমধ্যেই তাদের ফলাফলের মতো গুরুত¦পূর্ণ একটা ধাপ পার করে ফেলেছে। হয়তো খুব শীঘ্রই অনলাইনে ভর্তিও শুরু হবে। কিন্তু আমি উদ্বিগ্ন এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে। এপ্রিলে তাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও আদৌ শীঘ্রই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে হয় না।
একই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ রুমন রেজা বলেন, করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী এক দূর্যোগের সৃষ্টি করেছে। তবে জীবন আগে, লেখাপড়ার ক্ষতি তো পুষিয়ে নেয়া যাবে, কিন্তু জীবন যদি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে সেটা রক্ষা করাই তো মূখ্য বিষয়। তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি শেষ হলে যখন স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে।
সরকারী তোলারাম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ মোদক বলেন, লেখাপড়া তো জীবনের চেয়ে বড় নয়। প্রথমে জীবন তারপর লেখাপড়া। তবে যদি স্বদিচ্ছা থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা এসময়টাকে বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাতে পারবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি নিজ নিজ সাবজেক্ট অনুযায়ী বইগুলো কালেক্ট করে পড়তে থাকে, তাহলে তারা এ সমস্যাকে উৎরে যেতে পারবে। এখন তো অনলাইনের যুগ, অনলাইনে সবগুলো বইয়ের সফট কপি পাওয়া যায়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ