আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনার প্রভাব পরেনি বিএনপিতে

সৈয়দ মোহাম্মদ রিফাত, সংবাদচর্চা
ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। যার ন্যায় দেশে চলছে অলিখিত লকডাউন। তারপরেও শুনসান নিরবতায় প্রধান বিরোধি দল বিএনপি। করোনা ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত কথা বলতে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির দুই-তৃতীয়াংশ নেতাকর্মীকে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ নিজ দলীয় নেতাকর্মীরাই।

দলটির একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সবসময় ঘুরপাক করতো নেতাকর্মীদের মাথায়। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে শুধু নেত্রীর মুক্তি নিয়েই ভাবতে হতো সিনিয়র নেতাদের। যার ফলে অনেক বিষয়েই এখনও পর্যন্ত বিএনপির কোন নেতাকর্মীরা কথা বলেননি। তবে নেত্রী এখন মুক্ত। তাই খুব শীঘ্রই সামাজিক কার্যক্রমে ঝাপিয়ে পরবে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল পর্যায়ের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র নেতারা কোন কিছু নিয়ে কারও সাথে আলোচনা করে না। সেই সাথে কাউকে কিছু করার জন্য নির্দেশনাও দেয় না। ঠিক এই কারণেই বিএনপি সুসংগঠিত নয়। বলাচলে, এই দলে সবাই নেতা। করোনা ইস্যু নিয়ে ভালো-মন্দ কিছুই বলতে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অভিভাবক খ্যাত নেতাদের। শুধু মাত্র ছাত্রদল আর যুবদলের হাতে গনা কয়েকজন নেতাকর্মী মানুষের জন্য কাজ করছেন।

জানা গেছে, সদ্য বিলুপ্ত জেলা বিএনপি কিংবা মহানগর বিএনপির কোন নেতাকর্মী এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি করোনা ইস্যু নিয়ে। এই ইস্যুতে সরকারের আলোচনা কিংবা আর্ত মানবতার সেবায় সাধারণ মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও কোন পদক্ষেপ নেননি তারা। জেলার সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ এগিয়ে আসেননি কোন কার্যক্রমে।

অন্যদিকে মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামকে কোন বিষয়েই মুখ খুলতে দেখা যায়না আর সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল দেশে করোনা প্রবেশের আগেই পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। তবে সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান নেমেছেন সচেতনায়। জেলা যুবদলও হাত গুটিয়ে বসে আছে আর মহানগরের সভাপতি সহ কাজ করছেন হাতে গোনা কয়েকজন। তবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা করোনা ইসুত্যে বেশ সক্রিয়। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করে তারা মোটামোটি তৎপর।

রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, যেকোন দেশের প্রধান বিরোধি দল মানেই সরকারের ভুল-ত্রুটি জণগনের সামনে প্রকাশ করা আর যেকোন ইস্যুতে ক্ষমতাসীনদের আগে কথা বলা। তবে বাংলাদেশের বিরোধি দল বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার ফলে অনেকটাই নাজুক অবস্থানে চলে গেছে। বলাচলে, দলটির নেতাকর্মীরা ক্ষমতার স্বাদ বঞ্চিত হওয়ায় ঝিমিয়ে পরেছে। এভাবে কোন দেশের প্রধান বিরোধি দল চলতে পারে না। দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখতে হলে আর তা বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারি দলের চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতে হতে বিরোধি দলের। তা হলেই কেবল লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব।

এসএমআর

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ