আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কমিটির শূন্য পদের জন্য দৌড় নেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক,নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের শূন্য পদ পূরণ নিয়ে দুই রকম ভাবে ভাবছে দুই পক্ষ। একটি পক্ষ চাইছে প্রথম কার্যকরী কমিটির সভায় বিষয়টির সুরাহা করতে। অন্য পক্ষ কেন্দ্র থেকে পদ পূরন করতে চাইছেন। আর এ কারনেই সর্বসম্মতিক্রমে এখনো সভা ডাকতে পারেননি জেলা আওয়ামীলীগ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। তবে ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে লবিং করে পদে থাকতে চাইছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলেও ৫টি পদ রাখা হয় শূন্য। এর মধ্যে সহ সভাপতি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১ জন করে ও ২ জন সদস্য পদ খালি রয়েছে। তবে কমিটি ঘোষণার করার আগে সহ সভাপতি পদে আসীন হওয়া হকি তারকা খাজা রহমতউল্লাহর মৃত্যুতে আরো একটি পদ শূন্য হয়। এ ৬ টি পদ ছাড়াও শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমেদ পলাশ জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো: আবদুল হাই জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সভায় শূন্য পূরণে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ৭৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণার সময়ে শূন্য পদগুলো স্থানীয়ভাবে পূরণ করতে বলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
তবে এ শূন্য পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি পক্ষ। যদিও দলীয় সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় সব পক্ষই এ পদগুলো পাওয়ার জন্য উদগ্রীব রয়েছেন। ৬ টি পদ নিজেদের বলয়ে টানার জন্য নানাভাবে লবিং করছেন অনেক নেতা। সূত্রটি আরো জানায়, ব্যক্তিগতভাবেও কেউ কেউ লবিং করছেন পদ পেতে। বিশেষ করে যারা কোন সংগঠনেই সুযোগ পাননি তাদের মধ্যে কেউ কেউ জেলা আওয়ামীলীগের শূন্য পদে আসীন হতে চাইছেন। এর মধ্যে দুই একজন ঢাকায় দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
এক যুগেরও বেশী সময় পার করে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ৩ সদস্যের জেলা আওয়ামীলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি করা হয় মো: আবদুল হাই, সহ সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো: শহীদ বাদল। এর প্রায় এক বছর পর কেন্দ্র থেকে পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ