আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কথার আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগের দুই মেরুর রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা বহু আগের। দু’টি পরিবারকে ঘিরে দ্বন্দ্বও পুরনো। তবে ২০১১ সাল থেকে সেই দ্বন্দ্ব নতুন রূপ নিয়েছে। তখন থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক হয়। এরপরের সব ক’টি নির্বাচনের আগে একপক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে উঠে পড়ে লাগে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই শুরু হয় কথার আক্রমন।
ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মী সভা করা হচ্ছে। মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা না জানলেও একের পর এক সভায় উপস্থিত হচ্ছেন আরেক শীর্ষ নেতা। এসব সভায় কড়া বক্তব্য রাখেন তিনি। অপরদিকে জেলা ও মহানগরের আরও কয়েকজন নেতাও ইদানিং কথা বাড়িয়ে দিয়েছেন।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও ডিসেম্বরে সিটি নির্বাচন হবে এমনটা জানার পর থেকে এবারও কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বর্তমান মেয়র ও মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নিয়ে সমালোচনায় মেতে উঠেছেন। ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মী সভায়ও তারা আইভীর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। এমন একাধিক সভায় উপস্থিত হয়ে কড়া ভাষণ দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। তিনি কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনকেও এক হাত নিয়েছেন। সভাপতি মহাশয়ের দোষ ছিলো তিনি এক সভায় বলেছেন, ওয়ার্ডে যে কর্মী সভা হচ্ছে তা তিনি জানেন না। এটা আওয়ামী লীগের না শামীম ওসমানের সভা। তার এ বক্তব্যের রেশ ধরে খোকন সাহা বলেছেন, শামীম ওসমান আপনাকে এই চেয়ারে বসিয়েছে। আনোয়ার হোসেনকে নসিহতও করেছেন তিনি। আইভীপন্থীরাও সমালোচনার পাল্টা জবাব দিচ্ছে।

সিটি নির্বাচন ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়েও কথা কম হচ্ছে না। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাইকে উদ্দেশ্য করে সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল নানা কথা বলেছেন। যা গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। সদরের একটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোনয়ন নিয়ে তাদের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। দুইজন দুইজনকে মোশতাকের লোক আর লাঙ্গল মার্কা আওয়ামী লীগার বলে আক্রমন করেছেন। সুত্রের খবর এ নিয়ে কেন্দ্রে শালিশও হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে কথা বলার মৌসুম আছে। কোন নির্বাচন এলে রাজনীতিকরা সরব হয়। এতে তাদের লাভ আছে। কথা বলে জনতাকে বশ মানাতে পারেন আবার নিজের গ্রহনযোগ্যতাও বাড়াতে পারেন। তাদের মতে, নারায়ণগঞ্জে ইউনিয়ন নির্বাচন আর সিটি নির্বাচন কে ঘিরে বক্তব্য দেওয়ার মৌসুম শুরু হয়েছে। অন্য সময় নেতারা এতো বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পায় না। তখন তারা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ