আজ মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জ বার নির্বাচন কাল,ঐক্যবদ্ধ আ.লীগ-বিএনপি

না.গঞ্জ বার নির্বাচন কাল,ঐক্যবদ্ধ আ.লীগ-বিএনপিসংবাদচর্চা ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এক নির্বাচনেই ঘুরিয়ে দিল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক মোড়। দুটি দলের মধ্যে আদালতপাড়ার রাজনীতি ও আদালতের বাহিরের রাজনীতিতেও শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিবাদমান যে কোন্দল ছিল সেই কোন্দল নিরসনে দুটি দলই এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলে জয় পরাজয় যাই হোক দুটি রাজনৈতিক দলের কোন্দল নিরসন হওয়ার কারণে এক্ষেত্রে দুটি দলই জয়ী হয়েছে। ভোটের ফলাফলের চেয়ে দুটি দলের এ ঐক্যবদ্ধতা হয়ে ওঠেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন।

এ বছরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ প্যানেলে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ মিয়া, সহ সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সুভাষ বিশ্বাস, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট স্বপন ভূইয়া, সমাজ সেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান ইনা, কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট রাশেদ ভূইয়া, অ্যাডভোকেট সোয়েব আহমেদ শুভ, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও অ্যাডভোকেট রুমানা আক্তার নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট জহিরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাষানী ভূইয়া নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। এ প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ মোল্লা, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুন নয়ন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম সুমন, সমাজ সেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট শারমীন আক্তার, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আমেনা আক্তার শিল্পী, অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব গোলাপ, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আনু, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম ও অ্যাডভোকেট আল আমিন সবুজ প্রমুখ

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কমিটি গঠন, পাল্টা কমিটি গঠন বিরোধ বিভক্তি ছিল চোখে পড়ার মতই। দুটি গ্রুপে ছিল বিভক্ত। আবার এদের মধ্যে ছিল গ্রুপ উপগ্রুপ। কিন্তু নির্বাচনের নাগাদ বিএনপির সকল আইনজীবীরা একসাথে হয়ে প্যানেল ঘোষণা করতে সমর্থ হয়। বিএনপির আইনজীবীদের একজন অভিভাবক তৈমূর আলমের মান অভিমান ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আসতেও কাজ করেছিলেন কোটের সিনিয়র আইনজীবীরা যারা প্রশংসার দাবিদার। সকলে এক মত হয়ে পুরো প্যানেল দিতে পেরেছে এবং নির্বাচনে টিম ওয়ার্ক করে প্রচারে কাজ করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা। এমন পরিস্থিতিতেও যখন সন্দেহ ছিল সেই সময় আদালতের সামনে থেকে যখন তৈমূর আলমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ তখন তৈমূরের পক্ষে এসে দাড়ান বিএনপির সকল আইনজীবীরা। এ গ্রেপ্তার ও তার জামিনে মুখ্য ভূমিকাও পালন করেন আইনজীবীরা। ফলে সকল সমস্যা মিটিয়ে বিএনপি এখন একটি অবস্থানে চলে আসছে।
অন্যদিকে একইভাবে আদালতপাড়ায় আওয়ামীলীগের আইনজীবীদের অবস্থান নিয়ে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে স্থানীয় প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে যখন তার দুইজন আনিসুর রহমান দিপু ও খোকন সাহার মধ্যে মান অভিমান চলে। নির্বাচনে প্যানেল গঠন নিয়েও তাদের মধ্যে অভিমানের আগুন বেড়ে যায়। নির্বাচনের শেষ দিকে এসে সেই শামীম ওসমান তার বন্ধুদের অভিমান ভেঙ্গে দিয়ে আওয়ামীলীগের প্যানেলের পক্ষে নামিয়েছেন। দিপু খোকন সাহার হাতে তুলে দিয়েছেন আওয়ামীলীগ প্যানেল। এর আগে থেকেই গত বছর থেকে দিপু খোকন সাহার সঙ্গে শামীম ওসমানের দূরত্ব চলে আসছিল। ফলে দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে অন্তত আদালতপাড়ায় ঐক্যবদ্ধ দেখা গেল। এখন দুটি দলের ঐক্য নিয়ে আগামী মঙ্গলবার হবে সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহন। এখন দেখার বিষয় দুটি দলের ঐক্যে কারো বেশি আইনজীবী ভোটারদের মন জয় করে নির্বাচিত হন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ