আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এসপি মেয়রকে শামীম ওসমানের হুশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, চন্দনশীল, খোকন, বাদল আমাকে বললো আমরা তো সরকার দলীয় লোক তাই আমাদের হাত-পা তো বাধা। আমি বললাম, তো কী করতে চান? হাত-পা খুলতে চান। ঠিকাছে, হাত পা খুলে দেখি যে নারায়ণগঞ্জের বেডা টা কে? বিষয়টা আপনারা চান আমি জানি। কিন্তু এত তারাতারি কাউরে ভুল বুইঝেন নাহ। যা দেখতেছেন তা না। পর্দার অন্তরালে কিছু খেলা থাকে। সেই খেলায় কেউ কেউ ভুল করে পাড়া দেয়।

আমাকে আমার কর্মীরা তলব করেছে যে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা প্রচন্ডভাবে উত্তেজিত। বাদল, খোকন সাহা আমাকে বলেছে। নারায়ণগঞ্জে পরিস্থিতি নাকি অনেক জটিল। আমার নেতাকর্মীরাও দেখলাম উত্তেজিত, ঠিকই আছে। আপনাদের মতো বয়সে আমরাও উত্তেজিত ছিলাম। আল্লার রহমত যে আমি ২০১১’র শামীম না। বয়স ও বাড়ে সেই সাথে ধৈর্যও বাড়ে। বিষয়টা কী?

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে শহরের ইসদাঈর বাংলা ভবনে আওয়ামী লীগ পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্তে রুখে দাড়াও ব্যানারে জরুরী কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী, আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। এখন সমস্যা তো আছে, বাইরের মানুষকে তো আর দোষ দিয়ে লাভ নেই। দোষ তো আমাদের ঘরের ভিতর। আমি দেখি এখন। আরেকজন মহিলা আছে নারায়ণগঞ্জে। আমি ওর নাম বলতে বলতে হয়রান হয়ে গেছি এখন আর বলতে চাইনা। উনি বললো মামলা করবে, তো মামলা করো না কেন? ও সাংবাদিক ভাইয়েরা গিয়ে বলেন না মামলাটা তারাতারি করতে। সৎ সাহস থাকলে তো চালু মামলা করা উচিৎ।

খালেদা জিয়াও আসছিলেন উনি তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন প্রথমবার। তিনি বলেছিলেন কোথায় আওয়ামী লীগ? কোথায় শামীম ওসমান? আমরা তখন আমাদের শ্রমিক ভাইদের বলালাম যে ভাই গাড়ী গুলো একটু পাতাইল্লা করেন খালেদা জিয়া আমরেদ দেখতে চায় একটু চেহারাটা দেখাইয়া আসি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো কথন পুলিশ বিএনপি সেনাবাহীনি বিএনপি, সব বিএনপি। এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নারায়ণগঞ্জের ছিলো। ২৪ ঘন্টা পরে একটাও নারায়ণগঞ্জে ছিলো না পুরো অফিন খালি কইরা ফালাইছিলাম আমরা। তৎকালীন বিএনপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিনের বেলায় বাইর হইতে পারেন নাই রাতের বেলায় বের হইতে হইছিলো।

কেউ যদি মনে করেন কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের শান্তিপূর্ণ অবস্থা নষ্ট করবেন, তা হবে না। এখানে যারা ব্যবসা করে তারা বিদেশী না এখানকার স্থানীয়। আমাদের ভাইব্রাদার। এখন তাদেরকে কেউ ফোন করে বলবেন, দেখা করেন। আমি বলবো দেখা করার সময় শেষ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। নিজামের বিরুদ্ধে জিডি হইসে, টিটুর বিরুদ্ধে মামলা হইসে, সজলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। কর্মীরা ভয়ে থরথর করে কাপঁছে, আমরা ভয় পেয়েছি আমরা ভীত? না কখনোই না। যুবলীগ, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক। আমরা কাউকে ভয় পাইনা। কেউ যদি খেলতে চান, ডোন্ট প্লে, নারয়ণগঞ্জে খেইলেন না।

সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে তাদের জুয়ার মামলার আসামী বানায় দিবেন? আমার আত্নীয় স্বজনদের মদের সাপ্লায়ার বানায় দিবেন? কাবু করতে চান? ওইসব কইরেন না। আমাগো কাবু করা যাবে না। অপেক্ষা করেন, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যেই টের পাবেন। কেউ যদি মনে করেন, নারায়ণগঞ্জে এই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওর থেকে চাঁদাবাজি করবো। ওটা কইরেন না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সহ সভাপতি বাবু চন্দন শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজুন ভূইয়া, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইবৃাহিম চেঙ্গিস, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমূখ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ