আজ বৃহস্পতিবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এরিক এরশাদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী বিদিশা। এতে ছেলে এরিক বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিদিশা এবং সন্তানকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচাতে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার আহবানও জানিয়েছেন।

রবিবার রাতে বিদিশা তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, কি নির্দয় এ সমাজের মানুষগুলো? যাদের জন্য জীবনে এত কিছু করে গেলেন তিনি, তারাই আজ তার মৃত্যু কামনা করছেন। বাবার মৃত্যু ক্ষণে ছেলেকে সুকৌশলে দূরে রাখা হচ্ছে, কেউ কেউ তাকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাও শুরু করেছেন।

সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতির কথা জানান চিকিৎসকরা। পরে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন এরশাদ। তাতেও পুরোপুরি সেরে উঠেননি তিনি।

বিদিশার ফেসবুকের সম্পূর্ণ স্ট্যাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো-

“এই নির্মমতার শেষ কোথায়? স্ত্রী দেখতে পারছেনা তার স্বামীকে সন্তান দেখতে পাচ্ছ না তার পিতা কে, এরকম এক নির্মমতার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করতে হচ্ছে আমার দিনগুলো। সবসময়ই বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠছে এই বুঝি কোন দুঃসংবাদ শুনি, আর কারো কথা বলছিনা আমি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবের কথা বলছি l
তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। অথচ তাকে নিয়ে চলছে রাজনীতি, কেউ বা চায় তার পদ দখল করতে, কেউ বা তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।
কি নির্দয় এ সমাজের মানুষগুলো? যাদের জন্য জীবনে এত কিছু করে গেলেন তিনি, তারাই আজ তার মৃত্যু কামনা করছেন। বাবার মৃত্যু ক্ষণে ছেলেকে সুকৌশলে দূরে রাখা হচ্ছে, কেউ কেউ তাকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাও শুরু করেছেন।

আমি অতো সাত, পাঁচ বুঝিনা, আর এগুলো বুঝতে চাইও না, আমি চাই আমার ছেলেটা সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক, বাবার স্বপ্ন পূরণে সেও এক সময় দেশ ও জাতির জন্য কাজ করবে, কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে আমার ছেলেকে নিয়ে, ও যেন আমার মত কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়। তাই আমি এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টির সকল নেতা কর্মীদের অনুরোধ করবো, আপনাদের নেতার এই দুঃসময়ে তার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান সত্য উদঘাটন করুন, ষড়যন্ত্র হাত থেকে এরিকে বাঁচান।

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কি এরিক তার বাবাকে দেখতেও পারবে না ? পারবে না কি শেষবারের মতো একবার বাবা বলে ডাকতে ? এই প্রশ্ন জাতীয় পার্টির প্রতিটি নেতাকর্মীর কাছে আমার রইল, পাশাপাশি ওনার সুস্থতার জন্য সকলকে দোয়া করার অনুরোধ রইলো। বিদিশা।”

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ