আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এবার যার হাতে ওঠছে গোল্ডেন গ্লাভস

থিবো কোর্তোয়া (বেলজিয়াম) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চেলসির হয়ে গোলপোস্টের নিচে বেশ আস্থার পরিচয় দিয়েছেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ক্লাবের পরে এবার তিনি রাশিয়া বিশ্বকাপে দেশের হয়েও গোলপোস্টের নিচে আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। এমনিতে বেলজিয়ামের ডিফেন্স একেবারে নিরেট সেই সাথে গোলপোস্টের নিচে চীনের প্রাচীর মতো থিবো কোর্তোয়ার উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য গোল করা হুমকিতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একমাত্র জাপানের বিপক্ষে ম্যাচটি ব্যতীত অন্য ম্যাচগুলোতে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন থিবো কোর্তোয়া। বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে তার কীর্তি এখন সবার মুখে মুখে। ব্রাজিলের বিপক্ষে থিবো কোর্তোয়া একটি নয় মোট নয়টি সেভ করেছেন। ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দেয়ার অন্যতম কারিগর এই থিবো কোর্তোয়া। এছাড়া জাপানের বিপক্ষে শেষ মূহূর্তের গোলে জয়ের পিছনেও তার যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে। তিনি জাপানের শট তালুবন্দী করে বিন্দুমাত্র দেরি না করে বল পাস করে দেন। সেটি থেকে পরবর্তীতে শাদলি গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছে। বেলজিয়ামের গোলপোস্টের নিচে তার উপস্থিতির কারণে সেট পিস থেকে রেড ডেভিলসের বিপক্ষে গোল করা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। ৫ ম্যাচের ২টিতে তিনি ক্লিনশীট বজায় রেখেছেন। থিবো কোর্তোয়ার এই কীর্তিগুলো তাকে রাশিয়া বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রাখছে। ড্যানিয়েল সুবাসিচ (ক্রোয়েশিয়া) ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক ড্যানিয়েল সুবাসিচ টাইব্রেকারে দলকে একবার নয়, দুই দুইবার জয় উপহার দিয়েছেন। বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক তার অভিজ্ঞতার ঝুলি দিয়ে মারিও মানজুকিচ-লুকা মডরিচদের পাশাপাশি সেরা পারফর্মার হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন। তার দিনে তিনি কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন সেটি তিনি দেখিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের বিপক্ষে। ডেনমার্কের বিপক্ষে টাইব্রেকারে এক-দুইটি নয়, মোট তিনটি পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে আবারও টাইব্রেকার, আবারও সুবাসিচের অনবদ্য পারফর্ম। তিনি রাশিয়ার প্রথম পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে গেছেন। সেই সাথে এক বিশ্বকাপে মোট ৪টি পেনাল্টি ঠেকিয়ে রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। মোট ৫ ম্যাচে ২টি ক্লিনশিট আছে তার। এছাড়া তিনি ৯০ ভাগ শট সেভ করেছেন। এছাড়া তিনি অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পাসও দিয়েছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার টাইব্রেকার কীর্তি। সামনের ম্যাচে তিনি আরও কি করবেন সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে এবারের বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ এর বড় দাবিদার সুবাসিচ। মুসলেরা (উরুগুয়ে) মুসলেরা বেশ কয়েক বছর ধরে উরুগুয়ের গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপে আরো ভালোভাবে সামলেছেন। যদিও তার সব কৃতিত্ব শেষ ম্যাচে এসে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে তার ভুলের কারণে ফ্রান্সের বিপক্ষে তার দল গোল দ্বিতীয় গোলটি হজম করেছে। তবে তার আগের চার ম্যাচের ৩ ম্যাচে তার ক্লিনশিট ছিলো এবং তিনি ৯১% শট সফলভাবে ঠেকিয়েছেন। অধিনায়ক দিয়েগো গডিন–গিমিনেজের জমাট রক্ষণ এবং মুসলেরার গোলকিপিং উরুগুয়েকে একেবারে দুর্ভেদ্য করে তুলেছিলো। ছোট এক ভুলের কারণে একটি গোল হজম করলেও তার কৃতিত্বগুলো প্রশংসার দাবিদার। তাই ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের দৌড়ে তার নামও থাকবে। অ্যালিসন (ব্রাজিল) ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন রাশিয়া বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করেছেন। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তার দৃঢ়তার কারণেই ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। গোলপোস্টের নিচে তার অসাধারণ পারফর্মেন্স থিয়াগো সিলভা-মিরান্ডাদের কাজ আরো সহজ করে দিয়েছে। তিনি নির্ভরতা এবং সাহসের সাথে রক্ষণ সামলেছেন। অ্যালিসন ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি। তার উচ্চতার কারণে তাকে ফাঁকি দিয়ে সেট পিস থেকে গোল করা একেবারে কঠিন। তবে শেষ পর্যন্ত তার দল বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও তার সম্ভাবনা রয়েছে ব্যক্তিগত পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের। হুগো লরিস (ফ্রান্স) ফরাসি গোলরক্ষক একই সাথে টটেনহাম হটস্পারস এবং ফ্রান্সের অধিনায়কত্ব করছেন। তিনি ক্লাব ফুটবলে যেমন নিজের প্রতি ভক্ত-সমর্থকদের আস্থা তৈরি করতে পেরেছেন, তেমনি দেশের হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপেও দারুণ করছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে তার পারফর্মেন্স সবার নজর কেড়েছে। উরুগুয়ের মার্টিন কাসেরেসের হেডটি উড়ে গিয়ে সেভ করেছেন। তিনি যদি সেই গোলটি না ঠেকাতেন তবে ফল ভিন্ন হতে পারতো। হুগো লরিস এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি। তার দল সেমিফাইনালে উঠে গেছে, তার সামনে সুযোগ রয়েছে দারুণ কিছু করার। সেটি করতে পারলে ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ তার হাতে উঠতে পারে। ক্যাসপার স্মাইকেল (ডেনমার্ক) রাশিয়া বিশ্বকাপে দুই গোলরক্ষকের তুমুল লড়াই দেখেছে দ্বিতীয় পর্বে ডেনমার্ক বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে। ডেনিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল এবং ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ড্যানিয়েল সুবাসিচ উপভোগ্য এক ম্যাচ উপহার দিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে স্মাইকেল মোট ৩টি পেনাল্টি আটকে দেন। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া সেটি আটকে ম্যাচ নিয়ে টাইব্রেকারে। সেখানেও স্মাইকেল দারুণভাবে দুটি শট আটকে দেন। কিন্তু সুবাসিচ টাইব্রেকারে ৩টি শট আটকে জয় ছিনিয়ে নেন। এছাড়া গ্রুপ পর্বে ডেনিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেনি শক্তিশালী ফ্রান্স এবং পেরুর ফরোয়ার্ডরা। চার ম্যাচের দুই ম্যাচে তিনি কোনো গোল হজম করেননি এবং তিনটি পেনাল্টি শট আটকে নায়ক হলেও দল জিততে না পারায় তার কৃতিত্ব ঢাকা পড়ে যায়। গোল্ডেন গ্লাভস জয়ের দৌড়ে তিনি হয়তো থাকবেন কিন্তু তার দল ডেনমার্ক দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়ায় তার এই পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা ক্ষীণ।

থিবো কোর্তোয়া (বেলজিয়াম) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চেলসির হয়ে গোলপোস্টের নিচে বেশ আস্থার পরিচয় দিয়েছেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ক্লাবের পরে এবার তিনি রাশিয়া বিশ্বকাপে দেশের হয়েও গোলপোস্টের নিচে আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। এমনিতে বেলজিয়ামের ডিফেন্স একেবারে নিরেট সেই সাথে গোলপোস্টের নিচে চীনের প্রাচীর মতো থিবো কোর্তোয়ার উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য গোল করা হুমকিতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একমাত্র জাপানের বিপক্ষে ম্যাচটি ব্যতীত অন্য ম্যাচগুলোতে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন থিবো কোর্তোয়া। বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে তার কীর্তি এখন সবার মুখে মুখে। ব্রাজিলের বিপক্ষে থিবো কোর্তোয়া একটি নয় মোট নয়টি সেভ করেছেন। ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দেয়ার অন্যতম কারিগর এই থিবো কোর্তোয়া। এছাড়া জাপানের বিপক্ষে শেষ মূহূর্তের গোলে জয়ের পিছনেও তার যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে। তিনি জাপানের শট তালুবন্দী করে বিন্দুমাত্র দেরি না করে বল পাস করে দেন। সেটি থেকে পরবর্তীতে শাদলি গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছে। বেলজিয়ামের গোলপোস্টের নিচে তার উপস্থিতির কারণে সেট পিস থেকে রেড ডেভিলসের বিপক্ষে গোল করা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। ৫ ম্যাচের ২টিতে তিনি ক্লিনশীট বজায় রেখেছেন। থিবো কোর্তোয়ার এই কীর্তিগুলো তাকে রাশিয়া বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রাখছে।  ড্যানিয়েল সুবাসিচ (ক্রোয়েশিয়া) ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক ড্যানিয়েল সুবাসিচ টাইব্রেকারে দলকে একবার নয়, দুই দুইবার জয় উপহার দিয়েছেন। বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক তার অভিজ্ঞতার ঝুলি দিয়ে মারিও মানজুকিচ-লুকা মডরিচদের পাশাপাশি সেরা পারফর্মার হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন। তার দিনে তিনি কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন সেটি তিনি দেখিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের বিপক্ষে। ডেনমার্কের বিপক্ষে টাইব্রেকারে এক-দুইটি নয়, মোট তিনটি পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে আবারও টাইব্রেকার, আবারও সুবাসিচের অনবদ্য পারফর্ম। তিনি রাশিয়ার প্রথম পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে গেছেন। সেই সাথে এক বিশ্বকাপে মোট ৪টি পেনাল্টি ঠেকিয়ে রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। মোট ৫ ম্যাচে ২টি ক্লিনশিট আছে তার। এছাড়া তিনি ৯০ ভাগ শট সেভ করেছেন। এছাড়া তিনি অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পাসও দিয়েছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার টাইব্রেকার কীর্তি। সামনের ম্যাচে তিনি আরও কি করবেন সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে এবারের বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ এর বড় দাবিদার সুবাসিচ। মুসলেরা (উরুগুয়ে) মুসলেরা বেশ কয়েক বছর ধরে উরুগুয়ের গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপে আরো ভালোভাবে সামলেছেন। যদিও তার সব কৃতিত্ব শেষ ম্যাচে এসে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে তার ভুলের কারণে ফ্রান্সের বিপক্ষে তার দল গোল দ্বিতীয় গোলটি হজম করেছে। তবে তার আগের চার ম্যাচের ৩ ম্যাচে তার ক্লিনশিট ছিলো এবং তিনি ৯১% শট সফলভাবে ঠেকিয়েছেন। অধিনায়ক দিয়েগো গডিন–গিমিনেজের জমাট রক্ষণ এবং মুসলেরার গোলকিপিং উরুগুয়েকে একেবারে দুর্ভেদ্য করে তুলেছিলো। ছোট এক ভুলের কারণে একটি গোল হজম করলেও তার কৃতিত্বগুলো প্রশংসার দাবিদার। তাই ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের দৌড়ে তার নামও থাকবে। অ্যালিসন (ব্রাজিল) ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন রাশিয়া বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করেছেন। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তার দৃঢ়তার কারণেই ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। গোলপোস্টের নিচে তার অসাধারণ পারফর্মেন্স থিয়াগো সিলভা-মিরান্ডাদের কাজ আরো সহজ করে দিয়েছে। তিনি নির্ভরতা এবং সাহসের সাথে রক্ষণ সামলেছেন। অ্যালিসন ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি। তার উচ্চতার কারণে তাকে ফাঁকি দিয়ে সেট পিস থেকে গোল করা একেবারে কঠিন। তবে শেষ পর্যন্ত তার দল বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও তার সম্ভাবনা রয়েছে ব্যক্তিগত পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ের। হুগো লরিস (ফ্রান্স) ফরাসি গোলরক্ষক একই সাথে টটেনহাম হটস্পারস এবং ফ্রান্সের অধিনায়কত্ব করছেন। তিনি ক্লাব ফুটবলে যেমন নিজের প্রতি ভক্ত-সমর্থকদের আস্থা তৈরি করতে পেরেছেন, তেমনি দেশের হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপেও দারুণ করছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে তার পারফর্মেন্স সবার নজর কেড়েছে। উরুগুয়ের মার্টিন কাসেরেসের হেডটি উড়ে গিয়ে সেভ করেছেন। তিনি যদি সেই গোলটি না ঠেকাতেন তবে ফল ভিন্ন হতে পারতো। হুগো লরিস এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি। তার দল সেমিফাইনালে উঠে গেছে, তার সামনে সুযোগ রয়েছে দারুণ কিছু করার। সেটি করতে পারলে ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ তার হাতে উঠতে পারে। ক্যাসপার স্মাইকেল (ডেনমার্ক) রাশিয়া বিশ্বকাপে দুই গোলরক্ষকের তুমুল লড়াই দেখেছে দ্বিতীয় পর্বে ডেনমার্ক বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে। ডেনিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল এবং ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ড্যানিয়েল সুবাসিচ উপভোগ্য এক ম্যাচ উপহার দিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে স্মাইকেল মোট ৩টি পেনাল্টি আটকে দেন। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া সেটি আটকে ম্যাচ নিয়ে টাইব্রেকারে। সেখানেও স্মাইকেল দারুণভাবে দুটি শট আটকে দেন। কিন্তু সুবাসিচ টাইব্রেকারে ৩টি শট আটকে জয় ছিনিয়ে নেন। এছাড়া গ্রুপ পর্বে ডেনিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেনি শক্তিশালী ফ্রান্স এবং পেরুর ফরোয়ার্ডরা। চার ম্যাচের দুই ম্যাচে তিনি কোনো গোল হজম করেননি এবং তিনটি পেনাল্টি শট আটকে নায়ক হলেও দল জিততে না পারায় তার কৃতিত্ব ঢাকা পড়ে যায়। গোল্ডেন গ্লাভস জয়ের দৌড়ে তিনি হয়তো থাকবেন কিন্তু তার দল ডেনমার্ক দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়ায় তার এই পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা ক্ষীণ।

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের পর্দা নামছে আজ। এবারের আসরে সেরা গোল রক্ষকদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।  আর্জেন্টাইন দলের গোলকীপার কে বাদ দিলে নবাগত আইসল্যান্ড কিংবা স্বাগতিক রাশিয়াসহ ৩১ টি দলেরই শক্তিমত্তার বড় জায়গা ছিল গোলকীপারের দক্ষতা।

বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন রাশিয়ার আখিনফিব, ডেনমার্কের স্মাইকেল, মেক্সিকোর ওচোয়া, কোস্টারিকার নাভাস। দলকে নক আউটে তোলায় দক্ষতা দেখিয়েছে ব্রাজিলের এলিসন, বেলজিয়ামের কর্তোয়া।

কর্তোয়া, পিকফোর্ড, লরিস, সুবাসিচ এর দক্ষতা বলতে হবে আলাদা করেই। ব্রাজিলের বিপক্ষে অমানবিক সেভ করে ব্রাজিলকে রাশিয়া ছাড়িয়েছেন একাই। পিকফোর্ড দলকে সেমিতে তুলেছেন পেনাল্টি থেকে। লরিসের সামনে দাঁড়াতেইই পারেনি হ্যাজার্ড-লুকাকু রা।

আর, সুবাসিচ! সে এক ইতিহাস। টানা দুই পেনাল্টি তে দলকে বাঁচিয়েছেন। ইংল্যান্ড এর মুহুর্মুহু আক্রমণ ঠেকিয়ে উঠেছেন ফাইনালে।

সদ্য সমাপ্ত মৌসুম এ ইউরোপ এরএর সেরা ৫ লীগ মিলিয়ে পারফরমেন্স এ এগিয়ে আছেন সুবাসিচ ই।

১৯ পেনাল্টি থেকে ৭ সেভ করে শীর্ষে সুবাসিচ।
১৫ পেনাল্টি থেকে ২ সেভ কর্তোয়ার।
৯ পেনাল্টি থেকে একটি সেভ পিকফোর্ড এর।
২৬ পেনাল্টি থেকে ২ সেভ নিয়ে চতুর্থ লরিস।

বিশ্বকাপ এর আসরেও দুর্দান্ত সুবাসিচ। গোল্ডেন গ্লাভস জয়ের দ্বারপ্রান্তে সবার শীর্ষে আছেন তিনিই। দেখার অপেক্ষা কে জিতবে এবারের গোল্ডেন গ্লাভস।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ