আজ বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এনআরসি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

ভারতে পাস হওয়া বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বলবৎ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত।

পথে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কলকাতার রাজপথ থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় পথে নেমে করেছেন প্রতিবাদ। তা কখনও শঙ্খ বাজিয়ে আবার কখনও গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে। আর এবার দার্জিলিংয়ে এনআরসির প্রতিবাদে খঞ্জনি বাজিয়ে প্রতিবাদে পথে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার দার্জিলিংয়ের ভানু ভবন থেকে মিছিল শুরু হয়। নেহরু রোড ধরে পদযাত্রা সোজা কাকঝোরায় যায়। সেখান থেকে পদযাত্রা ফিরে আসে দার্জিলিংয়ের মোটর স্ট্যান্ড চাকবাজারে। মিছিলের পর এদিন ফের একবার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট ঘোষণা, বাংলায় এনআরসি- সিএএ হতে দেবেন না। সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপদেগে এদিন মমতা বলেন, দিল্লিতে সিএএ-এর বৈঠকে সব রাজ্যে উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তার অবস্থানে অনড়। তাই রাজ্যের তরফে কেউ সিএএ-এর বৈঠকে যোগ দেয়নি।

তৃণমূল নেত্রী ফের একবার হুঙ্কার দিয়ে বলেন, এনআরসি, সিএএ বাতিল না হওয়া পর্য্ন্ত এই আন্দোলন চলবে। পাশাপাশি এদিন সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপদেগে তিনি বলেন, সবাইকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিলে দেশে থাকবে কে? মমতা বলেন, রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না।

তিনি বলেন, “ আসামে এনআরসি করে বহু বাঙালি এবং গোর্খাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন দার্জিলিংয়ে বিপদের দিন। তবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে এ রাজ্যে কিছুতেই কোনও গোর্খাকে বিতাড়িত হতে দেব না। কোনও উপজাতির নাগরিককে বাংলা থেকে তাড়াতে দেব না। দেশ ভাগ করতে দেব না। বাংলায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না।” কাউকে তাড়াতে চাইলে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ রাজ্য থেকে বের করে দিতে হবে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত গোর্খাদের মনে ভরসা জোগাতে বুধবার দার্জিলিংয়ে পদযাত্রা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস, বিনয় তামাংদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, পাহাড়ের ১৬টি জনজাতি উন্নয়ন বোর্ডের সমর্থকেরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন রাস্তায় পা মেলান।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিলেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচিকে ঘিরে পাহাড়ের আমজনতার মনে এদিন প্রবল কৌতূহল শুরু থেকেই ছিল। আর তা বাস্তব রূপ পেল যখন এদিন পাহাড় দেখল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে জনতা মাছিলে হাঁটল পাহাড়ের পথে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ