আশায় বুক বেধেছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হবে। তার জন্য তিনি আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের সাথে চ্যালেঞ্জও করেছিলেন। তার জন্য তিনি দলের চরম দুঃসময়ে জেলও খেটেছেন। কিন্তু তার সেই ত্যাগ দলের কাছে মূল্যহীন। বলছি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সভাপতি রনির কথা। তিনি এবারের ছাত্র দলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। দলের অন্য প্রার্থীদের সাথে তিনি ভোটে টিকে থাকতে পারেন নাই। রনি কত ভোট পেয়েছেন সেটা জানা যায় নাই। ধারণা করা হচ্ছে যদি ভোট পেয়ে থাকেন তা খুবই কম। তবে অনেকেই ধারণা করছে রনি ত বিক্রি হয়ে যায় নাই !শেষ পর্যন্ত তিনি ভোটে ছিলেন কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। ঢাকার পরে বাংলাদেশের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ জেলা নারায়ণগঞ্জ । এখানে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাও রয়েছে। তার পরও রনিকে হারতে হয়েছে বগুড়া এবং নরসিংদীর কাছে। রনির হারার পেছনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাদের কোন্দলকেই দায়ি করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ১৮৬ ভোট পেয়ে ছাত্র দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বগুড়ার ছেলে ফজলুর রহমান খোকন। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন নরসিংদীর ছেলে ইকবাল হোসেন শ্যামল। তিনি পেয়েছেন ১৩৯ ভোট।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার শাহজাহানপুরের বাসায় রাতভর ভোটগ্রহণ ও গণনা অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন ছাত্রদল সভাপতি খোকনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনুক ইসলাম শ্রাবণ ইসলাম পেয়েছেন ১৭৮ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকিরুল ইসলাম জাকির পেয়েছেন ৭৮ ভোট।
৫৩৩ কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮১ জন ভোট প্রদান করেছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।