আজ বৃহস্পতিবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এগারো ব্যক্তি পাবে সম্মাননা: মন্ত্রী গাজী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য এগার ব্যক্তি বা সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার ( ৩ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ ) আসনের সংসদ সদস্য ,বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “পাটখাত উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম, পাটবীজ আমদানিতে নির্ভরশীলতা হ্রাস, পাটবীজ উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন, প্রচলিত ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখার জন্য এবছর পাট দিবসে ১১ (এগার)টি ক্যাটাগরিতে ১১ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও পাট সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ৭টি শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হবে।”
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসি, মো: মুহিবুর রহমান (অতিঃ সচিব), এস.এম.সেলিম রেজা (অতিঃ সচিব), পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমানসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, সোনালি আঁশ পাটের সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। পরিবেশবান্ধব তন্তু হিসেবে পাটের গুরুত্ব বিবেচনায় পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস-২০২২’ উদযাপন করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তু (পলিথিন)-এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে, পাট পণ্যের প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারীগণ সকলকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আগামী ০৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপিত হবে। এবারের জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে-¬¬¬¬ সোনালি আশেঁর সোনার দেশ, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ ।

গোলাম দস্তগীর গাজী জানান , আগামী ৬ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং জেডিপিসি চত্ত্বরে ৬-৮ মার্চ তিন দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শণী ও মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পাটপণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার এর লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই আইনের আওতায় ১৯ (ঊনিশ) টি পণ্য মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাট মৌসুমে হাট-বাজারে নজরদারি জোরদার করা, নিয়মবর্হিভূত মজুদ ও বিদেশে কাঁচা পাট পাচাররোধে নিয়োমিত তদারকি করা হচ্ছে। বিজেএমসি’র সাময়িক বন্ধকৃত মিলসমূহ অবসায়নের পর সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় লীজ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ২টি জুটমিলের (বাংলাদেশ জুটমিল,নরসিংদী এবং কেএফডি জুট মিলস্, চট্রগাম) ভাড়া ভিত্তিক ইজারা প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও আরো দু’টি জুট মিল এর লীজ প্রদান প্রকৃয়া চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে,দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরো কিছু মিল চালু করা সম্ভব হবে। পুনরায় চালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবে। একই সাথে এসব মিলে নুতন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ