আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

একটুকরো সবুজের সান্নিধ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গ্রিন ক্যাম্পাস। নাম শুনতেই প্রকৃতি প্রেমীদের চোখে ভেসে আসে জাহাঙ্গীর নগর কিংবা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। শুধুমাত্র ক্যাম্পাসের সবুজ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর এসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ঘুরতে যান প্রকৃতি প্রেমীরা। অথচ নারায়ণগঞ্জের অভ্যন্তরেই অল্প জায়গা নিয়ে গ্রিন ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে তা হয়তো অনেকেই জানে না। কনক্রিট আর ধুলো ময়লার রাজ্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সবুজের সমারোহ ঘটানো হয়েছে এই ক্যাম্পাসে। করোনা ভাইরাসের কারনে ছাত্রছাত্রীদের পদার্পন না থাকায় সবুজে সবুজে আরও মোহনীয় হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস প্রাঙ্গন।

বলছি নারায়ণগঞ্জের রনদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। একমাত্র বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও একমাত্র গ্রিন ক্যাম্পাসের জন্য বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছে। সবুজের এই মোহনীয়তা নিয়ে একেবারেই প্রচার নেই বাইরে। শহরবাসী একটুকরো সবুজের সান্নিধ্য পেতে ছুটে যান দূর দুরান্তে। চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রনদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসের মাঠে ঘাস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ধুলোবালির প্রকোপ চলছিলো লম্বা সময় ধরে। গুল্মলতার ঝাঁকেও পড়েছিলো বিলুপ্তির ছায়া। বসার বেঞ্চগুলোতে দীর্ঘসময় মিলতো না গাছের ছায়ার শীতল পরশ। বাধ্য হয়ে ক্যান্টিনের চেয়ার টেবিলে বসে বিস্বাদ সিঙ্গারা মুখে নিয়ে সময় কাটাতে হতো ছাত্রছাত্রীদের।

তবে সেসব ছাপিয়ে পুরো মাঠ এখন সবুজ ঘাসে পরিপূর্ন। গাছের ছায়াও যেন ছড়িয়ে পড়েছে মাঠের বেশীরভাগ অংশ জুড়ে। মূল ভবনের পেছনে স্থাপিত ছোট একটি চৌবাচ্চায় জন্মেছে পদ্ম আর লাল শাপলা। বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত কর্মচারী ঘাসগুলো সমআকারে কেটে অপূর্ব সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ পথে দুপাশের গাছ ছায়া দিয়ে বরন করে নিচ্ছে আগতদের যা দেখলে যে কেউ মোহে আটকে যেতে বাধ্য। ইট বিছানো সড়কের ভাজে জন্মে থাকা শ্যাওলা নতুন রূপ চিনিয়েছে প্রবেশ পথের। সব মিলিয়ে এ যেন সবুজের এক বিশাল রাজ্য।

দীর্ঘদিন পরে প্রশাসনিক কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিহা বলেন, এখনকার চিত্র আগের থেকে অনেক বেশী ভালো। এখন ভার্সিটির দিকে তাকালে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়। করোনার কারনে দীর্ঘদিন কেউ না আসায় এই সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। তবে শুধু এই কারনে নয়, আমরা সব সময়েই এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই।

একই বিষয়ে আরেক শিক্ষার্থী ঈশান চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিবেশ আমাদের কাছে নতুন নয়। প্রথমদিকেও আমরা এমন পরিবেশ পেয়েছিলাম। মাঝে ছাত্রছাত্রী বেড়ে যাওয়ায় ক্যাম্পাস মাঠের ঘাস নষ্ট হয়ে যায়। তবে বর্তমানে আবারও সেই সৌন্দর্য ফিরে পাওয়ায় বেশ ভালো লাগছে। এমন পরিবেশ সব সময় থাকলে ক্যাম্পাসটা চির সবুজ মনে হবে। মূলত বিকেলে ছাত্র ছাত্রীরা যখন নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যায় তখন একটু ঘাসের পরিচর্যা করলে সারাবছর এমন সৌন্দর্য পাওয়া সম্ভব।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ