আজ মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এই সড়কে নজর নেই !

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

চাষাঢ়া সুগন্ধা প্লাস রেস্টুরেন্টের সামনে সব মিলিয়ে ফুটপাত চওড়া হবে ৮ থেকে ১০ ফুট। এর মধ্যে ৬ ফুটই দখলে নিয়ে দখলদাররা। মালামাল রেখে আবার নিজেরাও আরাম করে চেয়ারে বসে থাকে। মাঝখানে অল্প ফাঁকা জায়গা দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটা দায় হয়ে মানুষজনের জন্য। এরমধ্যে সবচেয়ে বিব্রত হতে হয় নারীদের। গত কয়েকদিন ধরে শহরের সব জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালালেও এখানটায় নজর দিচ্ছে না কেউ।


নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থাকাকালে হকারদের পূনর্বাসন করতে চাষাঢ়া নওয়াব সলিমুল্লা সড়কের এক পাশের একটি সরকারি জায়গা দেয়া হয়। হকারা সে জায়গা বুঝে নেয় ঠিকই তবে তাদের মধ্যে অনেকেই তা পরে বিক্রি করে দেয়।

যদিও হকার্স মার্কেট এখনও রয়েছে। তবে তারা মার্কেটের জায়গার সামনে থাকা ফুটপাতও দখল করে রেখেছে। একদিকে মার্কেটে থাকা দোকানদাররা অপর পাশের ফুটপাত অন্য দখলদাররা দখলে নিয়ে দোকানপাট করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, খাঁজা মার্কেটের পর সুগন্ধা প্লাসের পর থেকে উপরে ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে ফুটপাতের দুই পাশ দখল করে রেখেছে তারা।


একই অবস্থা হকার্স মার্কেটের সামনে দিয়ে গিয়ে স্বপ্ন নামক চেইন শপের আগ পর্যন্ত। ফুটাতের দুই অংশে চকি পেতে দখলের পাশাপাশি নিজেরাও চেয়ার বা মোড়ায় বলে আরও কিছুটা জায়গা দখল করে রাখে। এর বাইরে ফুটপাতে ফাঁকা থাকা সামান্য জায়গা দিয়ে চলাচল করতে মানুষজনকে। করোনা ভাইরাসের মতো মহামারীর সময়ে এভাবে সামাজিক দূরত্ব কতটা রাখা যায় তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে তেমনি প্রশ্ন উঠেছে, কার সাহসে বারবার ফুটপাত দখল করে এ দখলদাররা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কখনও কখনও ফুটপাতের মাঝে দুই পাশের দখলদার দাঁড়িয়ে আলাপে মশগুল থাকে। দুই দিক থেকে মানুষজন এলেও সেদিকে নজর নেই অন্যায়ভাবে মানুষের পথ দখলে রাখা এ দখলদারদের। সূত্র মতে, ওদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়কারী চাঁদাবাজদের সাহসেই এমনটা করে। এদিকে অল্প জায়গা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে বিব্রত অবস্থায় পরতে হয় মানুষজনকে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ