আজ শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এইচ এস সি পরীক্ষার ফরম পূরনে অতিরিক্ত টাকা আদায়

নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজ

নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রক্ষক, বক্ষকের দুর্ণীতে দেশ যেন ছেয়ে যাচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে সেই বক্ষকদের জয়-জয়কার। কিন্তু সেই বক্ষকের ভাইরাসে যখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না যে জাতির জন্য এক ভয়াভয় ভবিষ্যত অপেক্ষমান। অভিশপ্ত শিক্ষক সমাজের শিক্ষা বাণিজ্যের হাত ধরে রচিত হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্খা অকাল চিতা, রচিত হয় জাতিয় স্বপ্ন ধ্বংসের কালো ইতিহাস। কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের চোখে আঙ্গুল দিয়ে মহামান্য হাই কোর্টের অমান্যে বেপরোয়া ওই অভিশপ্ত শিক্ষক সমাজের নৈরাজ্য সত্যিই জাতির জন্য মারাত্মক হতাশাজনক। সরকারের কড়া নিষেধাজ্ঞাতেও এই শিক্ষাবাণিজ্য প্রথার লাগাম ধরা যাচ্ছে না যেন কোন ভাবেই।
এবারের অভিযোগ এইচ এস সি পরীক্ষার ফরম পূরনের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায়। শুধু অতিরিক্ত বললে একটু ভুলই হবে, বরং মাত্রারিক্ত ফি আদায়। মাত্রাতিরক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে একাধিকবারের বিতর্কিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহরের উত্তর চাষাঢ়াস্থ নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ কর্মাস কলেজে সরেজমিনে দেখা যায়, রাক্ষুসে কলেজ নিষিদ্ধ কোচিং বাণিজ্যের নাম ভাঙিয়ে এইচ এস সি ২০১৬-২০১৭ শিক্ষা বর্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ফরম পূরনে প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিবাকদের টুটি চেপে আদায় করছে পাচ হাজার আট শত টাকা, যা কিন বোর্ড কতৃক নির্ধারিত ফি এর দ্বিগুন। কিন্তু ঢাকা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে নীতিমালা অনুযায়ী কোন কলেজই নির্ধারিত ফি ব্যাতীত অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে পারবে না, যা কিনা মহামান্য হাইর্কোট বিভাগেরও নির্দেশনা রয়েছে। যেখানে ঢাকা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সকল প্রকার পরীক্ষার ফি এর হার প্রতি পত্র/ বিষয় নিয়মিত পরীক্ষার্থী ৯৫ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি (প্রতি পত্র ২৫/- একাডেমিক ট্রান্সμিপ্ট ফি ৫০/- অনিয়মিত ফি ১৫/- অনুমতি/ তালিকাভূক্তি ফি ৫/ সনদ ফি ১০০/- পর্যন্ত।
এ প্রশঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুৃক নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিবাকরা জানায়, নারায়ণগঞ্জের অনান্য কলেজের তুলনায় আমদের কলেজে অনেক বেশী টাকা আদায় করছে। আমাদের পরিবারের পক্ষে এই দ্বিগুন টাকা ফি প্রদানে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। এদিকে অতিরিক্ত ফি প্রদান পূর্বক পরীক্ষায় অংশগ্রহনে ফরম পূরন করতে দেওয়া হচ্ছে না। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই জিম্মিদশা থেকে আমাদের মুক্ত করুন। অভিবাবকরা জানায়, ফরম পূরণের অজুহাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমদের ও আমাদের সন্তানদের জিম্মি করে রেখেছে। যেহেতু ফরম পূরণ ব্যাতীত আমদের সন্তানরা মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহনে সুযোগ পাবে না সেহেতু রক্ত বিক্রি করে হলেও আমাদের টাকা কলেজে জমা দিতে হবে। এছাড়া তো কোন উপায় নেই।
এদিকে অনেকটা নির্লজ্জের মতোই হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা রাকিবুল ফিরোজ রাতুল নারায়ণগঞ্জ.নিউজ কে জানায়, আমরা কোচিং, মডেল টেষ্ট, সেন্টার ফি, খাতা পূর্ণ মূলায়ন ও ব্যবহারিক বাবদ এইচ.এস.সি পরিক্ষার ফরম পূরণে সর্বমোট পাঁচ হাজার আট শত টাকা আদায় করছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সেন্টার ফি কি পরীক্ষার্থীরা দিবে? পরীক্ষার খাতা পত্র কি নারায়ণগঞ্জ কামর্স কলেজ কর্তৃপক্ষ মূল্যায়ন করবে? অন্য দিকে হিসাব রক্ষক রাকিবুল ফিরোজ রাতুলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দিন পূর্বে দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা রাকিবুল ফিরোজ রাতুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তিনি সনদ পত্র প্রদানের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদয় করেন।
সহকারী অধ্যাক্ষ সালমা বেগম জানায়, ‘আমরা বেশী ফি নিচ্ছি না। নারায়ণঞ্জ কলেজ, উত্তরা মডেল কলেজ, ভিকানুন নেছা কলেজ থেকে আমরা কম টাকা নিচ্ছি । এছারা আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাই না ।’
অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রশঙ্গে নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজ অধ্যাক্ষ শিরিন বেগম মোঠোফোনে জানায়, ‘আমি এখন অসুস্থ এ বিষয়ে কোন কথা বলবো না ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ