আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উনি অসত্য কথা বলছেন

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

আওয়ামী লীগের মনোনীত নাসিক মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতি করি। সাধারণ ভোটারা আমার উন্নয়নের রাজনীতির সাথে আছে। তাই ভোটাররাই আমার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা করছে। উন্নয়নের কথা রাজনৈতিক বিরোধীতার কারণে উনি (তৈমুর আলম) স্বীকার করছেন না। উনি সমালোচনা করতেই পারেন কিন্তু ভোটাররা তা গ্রহণ করছে কিনা সেটা দেখার ব্যাপার। কিন্তু তিনি তো সরাসরি অসত্য কথা বলতেছেন। উনি সিদ্ধিরগঞ্জ লেকের মতো জলাশয় বন্ধ করে রাস্তা বানানোর কথা বলছেন। এইটা তো হতে পারে না।’ সোমবার সকালে নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময় সাংবাদিকদের সামনে এইসব কথা বলেন আইভী।

তিনি নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড সকাল থেকে বার্মাস্ট্যান্ড, পাঠানটুলি, এসিআই পানিরকলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ এবং পথসভা করেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গও তার প্রচারণায় অংশ নেন। এলাকাবাসীও ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, স্থানীয় অনেক কিছুর সাথে দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু উনিও আওয়ামী লীগ করেন, আমিও আওয়ামী লীগ করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা, শেখ হাসিনার কর্মীরা আমার পাশেই আছেন। তৃণমূল সবসময় আমার সাথে ছিল, এখনও আছে। নেতৃস্থানীয় সকল নেতা আমার পাশে আছে। আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে কিন্তু কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’
সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্মসনদ পেতে ভোগান্তির অভিযোগ প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে একটি নতুন সিস্টেম চালু করেছে। এই সিস্টেমটি নতুন হওয়ার কারণে অনেকেই বুঝে উঠতে পারছে না বলে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। একসাথে অনেক চাপ পড়ার কারণে সার্ভারে কিছুটা জটিলতা হয়েছে। তবে সেবা একাবারে সেবাবঞ্চিত হচ্ছে এমনটা নয়।’
এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, নাসিকের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি কামরুল হুদা বাবু, যুবলীগ নেতা আব্দুল মোতালেব, শরীফ হিরা, হিমেল খান হিমুসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ