আজ মঙ্গলবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঈদে জঞ্জাল বাড়ায় তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঐ রিকশা মিশনপাড়া যাবেন? মিশন পাড়াতো চিনি না, আপনি চিনায়া দিয়েন। ভাড়া যা হয় তাই দিয়েন ভাই, উত্তর রিকশা চালক মজিদ মিয়ার। এ নগরের অলি গলি সবই চিনা তিন চাকার বাহন রিকশা চালকদের। কিন্তু মজিদ মিয়া চিনেন না কেনো এমন প্রশ্ন করেছিলেন চাকুরীজীবী কবির। প্রশ্নের উত্তরে জানান, ঈদকে সামনে রেখেই আসে বাড়তি কিছু আয়ের আশায়। ঈদ মৌসুমে তিনি এসেছেন এই নগরে। অন্য সময় জামালপুর নিজ গ্রামেই চালান রিকশা। তবে, এবারই প্রথম এসেছেন নারায়ণগঞ্জে। এর আগে গাজীপুর, সাভার সহ নানা এলাকায় চালিয়েছেন রিকশা।

রিকশা চালক মজিদ জানান, নগরীর নিতাইগঞ্জ, জিমখানা, ডিআইটি, ২নং রেলগেট, কালিরবাজার, চাষাড়া, মিশনপাড়া এলাকায় তিনি রিকশা চালান। তবে অল্প ক’দিনের পরিচিতি এলাকার নাম মনে রাখতে পারেন না। যার কারনে যাত্রীদের সহযোগীতা নিয়েই তাদের গন্তব্যস্থলে পৌছে দেন তিনি। মাঝে মধ্যে ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়তি কিছু ভাড়াও আবদার করেন, তবে যাত্রীর মনমেজাজের উপরে সে অর্থ তার পকেটে আসে বলে জানান তিনি। তার নিজ এলাকার এক পরিচিত জন গ্যারেজ থেকে ১শ ১০টাকা জমার বিনিময়ে একটি রিকসা ভাড়ায় নিয়ে দিয়েছেন। দুইবেলায় তিনি ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা উপার্জন করতে পারেন। এখানে থাকবেন ঈদের আগের রাত পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মৌসুমী রিকশা চালকরা যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে গিয়ে বারবার পথ চিনিয়ে দেয়ার আবদার করছে। আগে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষির সুযোগ না দিয়ে গন্তব্যে নামানোর পর অতিরিক্ত ভাড়াও চাইছে তারা। এ নিয়ে তর্কও হয় যাত্রী-চালকদের মাঝে। আর ঈদের আগ মুহূর্তে নগরে সৃষ্ট যানজটের জন্য দায়ী মৌসুমী রিকশা। এসব রিকশার জন্য নির্ধারিত স্টেশন না থাকায় সড়কে দাঁড়িয়ে সৃষ্টি করছে যানজট। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলের কারণে বিভিন্ন সময় ঘটে দুর্ঘটনা।

সরজমিনে দেখা যায়, নগরীর রাজপথ থেকে অলি-গলি পর্যন্ত তিন চাকার এই বাহনে এখন ঠাসা। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা চালকদের কেউই ট্রাফিক আইন জানেন না। রাস্তা চেনেন না এমন চালকের সংখ্যাও অনেক। ফলে যানজটও বেড়েছে। বেড়েছে নাগরিক দুর্ভোগ। পরিস্থিতি এমন যে, জরুরী হর্ন বাজিয়ে এ্যাম্বুলেন্স যেতে চাইলেও মাঝরাস্তা দিয়ে রিকসা চলে। চালকের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ