আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আগামী শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু

ইজতেমার

ইজতেমার

সংবাদচর্চা ডেস্ক: আগামী শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন-৫৩তম বিশ্ব ইজতেমা। ইতিমধ্যে আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতির ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে।

প্রথম পর্বে অংশ নেবেন ঢাকা, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, নড়াইল, মাদারীপুর, ভোলা, মাগুরা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পঞ্চগড়, ঝিনাইদহ, জামালপুর ও ফরিদপুর জেলার মুসল্লিরা।

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী আঞ্চলিক অফিস চত্বরে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ রোববার সকালে। এ প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ূন কবীর, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও ইজতেমা ময়দানের শীর্ষ মুরুব্বিরা। এ সভায় সার্বিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

 

বিশ্ব ইজতেমার আরেক মুরুব্বি মাওলানা মাহফুজ জানান, এবারের আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতির ৯০ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সম্পূূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রতিদিন প্রস্তুতি কাজে অংশ নিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও সিটি করপোরেশন পানি, বিদ্যুৎ ও টয়লেট নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এ বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পুরো মাঠে দাগ (কাতার) দেওয়া হয়েছে নামাজের জন্য। মুসল্লিদের জেলা ও উপজেলায় নির্ধারণ করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে খুঁটি ও খিত্তা। বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের তুরাগ পারাপারের জন্য ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে।

 

বাকি কাজ শুক্রবারের আগেই শেষ হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১২ জানুয়ারি শুরু হওয়া এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হবে ১৪ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। প্রথম পর্বের আগত মুসল্লিদের জন্য পুরো ময়দানকে বেশ কয়েকটি খিত্তায় বিভক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক খিত্তায় জিম্মাদার নিয়োজিত থাকবেন একজন। আগত তাবলিগ কর্মীরা প্রত্যেক খিত্তায় নিয়োজিত জিম্মাদারের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করবেন বিভিন্ন বিষয়ে। এবারের দুই পর্বের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন ৩২ জেলার মুসল্লিরা।

তেমার মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন জানান, মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ইজতেমা ময়দানে জায়গা কম থাকায় ২০১৬ সাল থেকে ৬৪ জেলার মুসল্লিদের ৩২ জেলা করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এই ৩২ জেলার মুসল্লিদের মধ্যে আবার ১৬ জেলা করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এক বছর পরপর ৩২ জেলার মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রথম পর্বে অংশ নেবেন ১৬ জেলার মুসল্লি ও দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন ১৬ জেলার মুসল্লি। বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় এ বছরও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিংয়ে পুলিশের জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। তা ছাড়া সিভিল বেশে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ইজতেমা মাঠের ভেতরে খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান করবেন। আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর জেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি সদস্যের পাঁচটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনা করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে, টঙ্গী তুরাগ নদের তীরে এক বর্গকিলোমিটার এলাকা, ১৬৫ একর জমির ওপর বাঁশের খুঁটি দিয়ে চটের ছাউনির মাধ্যমে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ