আজ মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে নিহত ৪ যুবকের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি পাবনা, নিহতদের ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ

আড়াইহাজারে চার যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায়

আড়াইহাজারে ৪ যুবকের গুলিবিদ্ধ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধারকৃত চারটি লাশেরই পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন পাবনা জেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের ধর্মগ্রাম এলাকার সবুজ সরদার, একই গ্রামের ফারুক হোসেন ও জহিরুল ইসলাম।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তাদের পরিবারের স্বজনরা নারায়ণগঞ্জ সদরের ১শ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করেন। তবে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে নিহতদের স্বজনরা দাবী করলেও পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

এদিকে চারটি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রবিবার রাতেই আড়াইহাজার থানা পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে।

নিহতদের স্বজনরা জানান, বেকারির কারিগর সবুজ সরদার অভাবের তাড়নায় পরিবারের ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে সোমবার ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পরদিন থেকেই সবুজের মোবাইল ফোন থাকে। জহিরুল ইসলাম সবুজের সাথে একই বেকারীতে কাজ করতো এবং ফারুক হোসেন বাসচালক বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। তারা তিনজনই একে অপরের পূর্ব পরিচিত বলে জানা গেছে।

তবে স্বজনদের দাবী, তারা কেউই রাজনীতি বা অপরাধমূলক কাজের সাথে সাথে জড়িত ছিল না। গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে সবুজ, ফারুক ও জহিরুলকে তুলে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বজনরা।
তবে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জানান, গতকাল একজনের লাশ হস্তান্তরের পর এখন পর্যন্ত কোন পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ লাশ শনাকরণের ব্যাপারে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেনি। দুইটি মামলা দায়েরের বিষয় স্বীকার করে তিনি জানান, এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত সে ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের আইন শৃংখলা বাহিনীর কোন সংস্থা এ ধরনের অভিযান চালায়নি।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী এলাকা থেকে গতকাল রবিবার সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চারটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ঞটনাস্থল থেকে দুইটি পিস্তল ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। বিকেলে রাজধানীর রামপুরা এলাকার লুৎফর মোল্লার লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী রেশমা বেগম। রাতেই পুলিশ তার কাছে লাশ হস্তান্তর করে। লুৎফর জব্দকৃত মাইক্রোবাসের চালক ছিল।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ