আজ মঙ্গলবার, ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে এক মাসে মাদকের ১৭ মামলা

আড়াইহাজারে এক

আড়াইহাজারে এক

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গত এক মাসে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ১৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদক নিন্ত্রয়নে পুলিশের অভিযান অব্যাহ রযেছে। তবে পুলিশের অভিযানেও থামছে না মাদকের ক্রয়-বিক্রয়। প্রতিনিয়তই বাড়ছে বিক্রি ও সেবীর সংখ্যা। যত্রতত্রই মাদক পাওয়া যাচ্ছে মাদক। এতে তরুণ  ছেলেরা মাদকের দিকে ঝুকে পড়ছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অলিগলিতে ঔষধের দোকানে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের যৌন উত্তেজক ঔষধ। এগুলো কিনে সেবন করছেন বখাটেরা। এতে করে সমাজে অসামাজিক কর্মকান্ড ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। অহরহই ঘটছে ধর্ষণের মত ভয়ংকর ঘটনা।

আড়াইহাজার থানার এক এসআই নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জড়িত রয়েছেন। তাদের মাদক সহ আটক করা হলে চলে জোড়ালো তদবির। এতে আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন করায় কিছু হলেও বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি এসব মাদক ব্যবসায়ীদের পরোক্ষভাবে সেল্টার দিয়ে থাকেন।

স্থানীয় এক মাদক সেবী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে ব্রাহ্মন্দী, কামরানীরচর, দুপ্তারা, গোপালদী এলাকায় অনেক মাদকের স্পট রয়েছে। এগুলোতে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে দিনের পর দিন মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে এসব স্পর্টে। তবে মাঝে মধ্যে চুনুপুটিদের আটক করা হচ্ছে। বড় বড় রাঘববোয়ালদের পুলিশ আটক করতে পারছে না। তারা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এতে করে পুলিশ মাদক নিন্ত্রয়ন করতে পারছে না।

আড়াইহাজার থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রনে পুলিশের অভিযান আরো জাড়ালো করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জেহাদ চলছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন দল নেই। তারা সেফ অপরাধী হিসেবেই আমাদের কাছে পরিচিত। কোন রাজনীতিক ব্যাক্তির তকরিবকে আমরা আমলে নিচ্ছি না। তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসেই পুলিশের রুটিন ওয়ার্ক চলছে মাদকের বিরুদ্ধে।