আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে অনুপ্রবেশকারী আশ্রয়দাতা হেলো সরকার !

নবকুমার:

আড়াইহাজার উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহিদুর  রহমান হেলো সরকার নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  ইকবাল পারভেজের একজন সমর্থক । তিনি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়  আড়াইহাজারের বিভিন্ন স্থানে  ইকবাল পারভেজের সাথে নৌকার গণসংযোগ করেছেন। হেলো সরকার চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ২ আসনে  ইকবাল পারভেজকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হোক। তার জন্য তিনি বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেছেন। বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ ৫ বৎসর যাবত আড়াইহাজারের বিভিন্ন ইউনিয়নে মিছিল ও গণসংযোগ করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেছেন।  তিনি আরো বলেছেন, ইকবাল পারভেজের গণসংযোগে মানুষের ঢলে এবার এ আসনে পরিবর্তন মিলছে । আমরা ইকবাল পারভেজকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাই। ইকবাল পারভেজও হেলো সরকারকে খুব মূল্যায়ণ করেছেন। জানা গেছে গত আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাচনে মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার আওয়ামী লীগের  মনোনয়ন পেয়েছে ইকবাল পারভেজের কল্যাণে। তখন স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু  হেলো সরকারের বিপক্ষে ছিলেন। হেলো সরকার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর নজরুল ইসলাম বাবুর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে। বর্তমানে স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান হেলো সরকারের সম্পর্ক ভালো রয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আড়াইহাজার বাজার এলাকার দুবাই প্লাজার আড়াইহাজার ক্লাব লিমিটেডে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে বহিস্কারের দাবি জানান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। তিনি দাবি করেন , জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী। ইকবাল পারভেজ সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের কর্মী হিসেবে কাজ করতো। সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর দাপটে বয়স জালিয়াতি করে রাজউকের সহকারি পরিচালক হিসেবে যোগ দেয় ইকবাল পারভেজ।

তিনি আরো জানান ,জাসদের গণবাহিনীর মূলনায়ক ছিলেন  আড়াইহাজারের মিজানুর রহমান বাচ্চু । ইকবাল পারভেজের কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিলো না। তারা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী।

এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ইকবাল পারভেজরা যদি আওয়ামী লীগে অনুপ্রকাশকারী হয়, তাহলে গত সংসদ নির্বাচনে ইকবাল পারভেজের পক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে গণসংযোগ করেছিলেন কেনো। তাহলে কি হেলো সরকার আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়দাতা ? সেই প্রশ্ন এখন গোটা নারায়ণগঞ্জে ঘুরপাক খাচ্ছে। নাকি ভোট শেষ দেখে মিজানুর রহমান বাচ্চু এবং ইকবাল পারভেজের দাম কমে গেছে।

এছাড়া মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক এবং তার পাশে বসে থাকা ব্যক্তির উপর চরাও হয়ে ওঠে মুজাহিদুল  ইসলাম হেলো সরকার। আবার তিনি আড়াইহাজারের উন্নয়ন কাজের জন্য এমপি বাবুর নাম বলতে গিয়ে বলেছিলেন ইকবাল পারভেজের নাম। এ সকল ভুলের কারণে অনেক প্রশ্ন তুলেছেন মুজাহিদুল  ইসলাম হেলো সরকার কি চাপে পড়ে সংবাদ সম্মেলন করতে এসেছে ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ