আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আসামে বাঙালি তাড়ালে গোটা দেশে আগুন জ্বলবে,মমতার হুঙ্কার

আসামে

আসামে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:অাসামে নাগরিকত্ব আইনের নামে বাঙালিদের তাড়ানোর চেষ্টা করলে ছাড় দিয়ে  কথা বলবেন না ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

বিজেপি নেতাদের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অাসমে আগুন জ্বালাবেন না। যাকে ইচ্ছা, তাকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। মমতার অভিযোগ, নাগরিকপঞ্জীতে নাম না থাকায় ইতিমধ্যেই একজন আত্মহত্যা করেছেন। আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন বাঙালিরা।

এনিয়ে বিজেপি’কে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েই ক্ষান্ত হননি তৃণমূল সুপ্রিমো। নাম না করে বিজেপি নেতৃত্বকে সতর্ক করে তার পরামর্শ,  বাঙালিরা এদেশের নাগরিক। আগুন নিয়ে খেলবেন না। গোটা দেশে আগুনে জ্বলবে।মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমরা রামকে ভালোবাসি, কিন্তু চওড়া কাঁধের রাবণকে নয়। কারণ রাবণ ছিল অত্যাচারী!

বুধবার বীরভূমের আহমদপুরে সরকারি পরিষেবা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় মমতা বলেন, বিজেপি’কে দেখুন। এখন আসাম থেকে বাঙালিদের তাড়াতে নেমেছে। ৩০-৪০ বছর ধরে যারা রয়েছেন, এখন সিটিজেনশিপ অ্যাক্টের নামে তাদের তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সব মিলিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে সেখান থেকে বিতাড়নের চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই চক্রান্তের প্রতিবাদে তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে গান্ধীমূর্তির সামনে ধর্না-অবস্থানে বসবেন দলীয় সংসদ সদস্যরা।

 

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা উচ্চ গলায়  বলেন, মনে রাখবেন আমাদের লোকজনকে যদি তাড়াতে শুরু করেন, তাহলে ছাড় দিয়ে কথা বলব না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসাম আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য। সেখানে গোলমাল হলে, আমাদের রাজ্যে তার প্রভাব পড়বে। জীবন-জীবিকার তাগিদে এক রাজ্যের লোক অন্য রাজ্যে যেতে পারে, থাকতে পারে। সংবিধান আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে।

মমতার বলেন আসামের লোক পশ্চিমবঙ্গে থাকলে তাদের থাই দেব,  সেখানে  (আসাম সরকার) বাংলার লোককে ঠাঁই দেয়া উচিত। তার অভিযোগ, এমন বেশ কিছু কাগজপত্র দেখছি, যেখানে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের ভোটার কর্মসূত্রে আসামে রয়েছেন, তাদেরও তাড়িয়ে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে।

নাগরিকত্ব আইনের নামে আসামে বসবাসকারী বাংলাভাষীদের গায়ে বাংলাদেশী তকমা চাপিয়ে, তাদের বিতাড়নের চেষ্টা শুরু হয়েছে। ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়ার নাম নাগরিকপঞ্জীতে থাকলেও, সমাজের বিভিন্ন স্তরের বহু বিশিষ্ট বাঙালি, সংসদ সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ বরাক উপত্যকার প্রায় ৭০ শতাংশ বাংলাভাষীর নাম বাদ গিয়েছে তালিকা থেকে। এই বিষয়টি নিয়েই প্রতিবাদে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজনীতিতে পারছে না, উন্নয়নে পারছে না, তাই শুধু আজেবাজে কথা। যা ইচ্ছে, তাই বলছে। এরপর সুর আরো চড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, জনগণের জন্য বিজেপি সরকারের কোনো অবদান নেই। অবদান নেই দলিত, সংখ্যালঘু, তফসিলি জাতি-উপজাতি আর ছাত্র¬যুবদের প্রতি। একটাই কাজ, মানুষের উপর অত্যাচার করা। এফআরডিআইয়ের নামে ব্যাঙ্কে সঞ্চিত সাধারণ মানুষের অর্থ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা। যখন তখন কমাচ্ছে স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার। আর বাড়িয়ে চলেছে রান্নার গ্যাসের দাম।

 

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ