আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আলীরটেক ব্রীজে আতংক

নিজস্ব সংবাদদাতা:
প্রায় ২০ ফুট লম্বা ব্রীজটির বয়স মাত্র ১০ বছর। আলীরটেকে অবস্থিত এ ব্রীজকে মানুষ চেনে কামাল সাহেবের বাড়ির ব্রীজ নামে। এখান দিয়ে চলাচল করেন বক্তাবলী ও আলীরটেক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ। জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন এ ব্রীজের উপর চলাচল করলেও সব সময়ে আতংকে থাকে মানুষ। তাদের আতংকের কারণ ব্রীজের ভাঙ্গা র‌্যালিং। অনেক দিন ধরে ভাঙ্গা থাকলেও তা সংস্কার করার কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দশ বছর আগে নির্মাণের সময়ে ব্রীজটি মজবুতের দিকে নজর দেয়া হয়নি। এর পিলারগুলো সরু। নির্মাণের বছর দুয়েক না যেতেই ব্রিজের র‌্যালিং ভাঙ্গা শুরু হয়। এখন দুই পাশের র‌্যালিংয়ের অনেকটা ভাঙ্গা। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে রাতের বেলায় বাতি না থাকায় অন্ধকার ব্রীজের উপর দিয়ে যে কোন যানবাহন চলাচল নিরাপদ নয় বলে মনে করেন স্থানীয়রা। ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও রিকশা থাকা যাত্রিরা এ ব্রীজ পারাপারের সময়ে আল্লাহ আল্লাহ জপেন বলে জানান তারা।
অটো চালক সালেহ আহমেদ জানান, এখানে গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে হলে এক ধরনের ভয় নিয়ে চলতে হয়। ভাঙ্গা কালভার্ট র‌্যলিংয়ের পরেই নিচে বিশাল গর্ত। গর্তে পড়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। তিনি বলেন, ব্রিজটি সংস্কার করা হলে চালক এবং যাত্রীরা স্বস্তিতে চলাচল করতে পারতো। কিছুটা ক্ষুব্দ কন্ঠে বলেন, চেয়ারম্যান নাকি এলাকায় অনেক উন্নয়নের কাজ করে তাহলে এটাকি তাদের চোখে পরে না।
জানা গেছে, ব্রীজের দুইপাড়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আলীরটেক ২ নম্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলীরটেক জামিয়া নূরীয়া মাদরাসা, মোহামদ্দীয়া মহিলা দাখিল মাদরাসা। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী এ ব্রীজ দিয়ে চলাচল করে। ছোট্টরা কখনও কখনও উৎসুক হয়ে ব্রীজের নীচে তাকায়। এ সময়ে এলাকার কোন বয়স্ক লোক থাকলে, শিশুদের কে সরে যেতে বলে। স্থানীয়দের মতে, শিশুদের জন্য এ ব্রীজ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি থেকে বাদ যায় না প্রবীণরাও।
স্থানীয় সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ ব্রিজ দিয়ে অনেক ছোট শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করে। তাদের নিয়ে ভয়ে থাকে অভিভাবকরা। তিনি বলেন, এ বিষয়টি জনপ্রতিনিধিরা জানলেও না দেখার ভান করে আছেন।
আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, ওইখানকার মেম্বার আমাকে জানালে আমি তা ভেঙ্গে নতুন ভাবে করে দিব। কিন্তু আমাকে জানাতে হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ