আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আলীরটেকে রাস্তা বেহাল, ভোগান্তিতে মানুষ

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন আলীরটেক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ছমির নগর পূর্ব পাড়া গ্রামের কাচা রাস্তার বেহাল দশা। সড়কজুড়ে খানাখন্দ ভরা। বড় বড় গর্ত এখন ছোটখাটো জলাশয়ে রূপ নিয়েছে। এসব গর্তে জমে থাকে পানি। ফলে কাদাপানিতে একাকার সড়কে চলতে ভোগান্তির শেষ নেই মানুষের। ভাঙা সড়কে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। রীতিমতো যানবাহন চলাচলের অনুপযুক্ত সড়কটি।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক, ট্রাক সহ সব যানবাহনও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ সড়কে।

স্থানীয়বাসিন্দা জানান, আলীরটেক ও বক্তাবলী এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবন পরিচালনা করে। সড়কে চলাচলকারী লোকজনের মধ্যে ৯০ শতাংশ কৃষক। এই সড়ক দিয়ে কৃষকেরা ধান-চাল ও শাকসবজি নিয়ে যান। ভাঙাচোরা এই সড়কে চলাচলের সময় প্রায়ই গর্তে পড়ে উল্টে যায় গাড়ি।

ছমির নগর এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস আলী জানা, আলীরটেক বক্তাবলীর ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের চলাচল হয় এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু বক্তাবলী ইউ.পির বর্ডার পর্যন্ত ইট বিছানো থাকায় গাড়ি আসতে পারলেও, আলীরটেক ইউনিয়নের অংশ কাচা রাস্তা হওয়ায় যাওয়া যায়না। একটু বৃষ্টি আসলে আর কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না । এই দুর্ভোগ স্বাধীনতার পর থেকে চলে আসছে। কত চেয়ারম্যান আসলো আর গেলো কিন্তু আমাদের এই এলাকার রাস্তার উন্নয়ন হলনা। আমরা সাধারণ মানুষ কষ্ট আর দুর্ভোগ থেকে রেহাই চাই।

তার পাশেই আরিফুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, কিছু দিন আগেু ইট বোজাই একটি পিকআপ পুকুরে পরে যায়। কোনো গর্ভবতী নারীকে এই সড়ক দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে বিপদ নেমে আসবে নিশ্চিত। খানাখন্দে ভরে যাওয়া সড়কটি দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারি না। বৃষ্টি হলে এই সড়ক দিয়ে যাওয়া ছেড়ে দেই। জানি না এই সড়কটি নির্মাণে চেয়ারম্যানের বোধোদয় হবে কী না। আমরা চেয়ারম্যানের দৃষ্টিআকর্ষণ কামনা করছি।

আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ