আজ বুধবার, ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাসিক কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান এর লঙ্কাকান্ড

আরিফুল হক হাসান

 

আরিফুল হক হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর ৪ নং ওয়ার্ড জণগনের কাছে ব্যবসা বাণিজ্যের এলাকা হিসেবে ব্যপক পরিচিত পেলেও কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান’র ড্যমকেয়ার নীতির ফলে তা দিন দিন হয়ে উঠছে অপরাধ এবং অপরাধীদের অভয়ারণ্য।

সিদ্দিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক নন্দিত চেয়ারম্যান মোঃ মতিন মাষ্টার এর অক্ষুন্ন সুনাম কে  ধূলিসাৎ করে যাচ্ছেন তার পুত্র নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান।

চিটাগাংরোড কোমল বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ফুটপাত এর গরীব হকারদের চাঁদার টাকায় তিনি যেনো সন্তুষ্ট হতে পারেননি, তাই তার চোঁখ এখন শিকারী বাজপাখীর মতো তার ওয়ার্ড এর বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের উপর।

তার-ই ধারাবাহিকতায় এবার কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান লঙ্কাকান্ড ঘটালেন নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড এর শিমরাইলস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রহমান কোল্ড ষ্টোরেজ লিমিটেড এ! পূর্ব নির্ধারিত দাবী মোতাবেক চাঁদার টাকা না পেয়ে আজ সকাল ৮.৩০ ঘটিকার সময় হঠাৎ করে কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান এর ক্যাডার বাহিণীরা অধিনায়ক গুন্ডা সফি, জহির সহ ১৫-২০ জনের দল রহমান কোল্ড ষ্টোরেজ লিমিটেড এ ব্যপক ভাংচুর চালায় এক পর্যায়ে সিদ্দিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকায় টহলের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান এর ক্যাডারবাহিনী পালিয়ে যায়।

এ ব্যপারে রহমান কোল্ড ষ্টোরেজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জ জেলায় ব্যবসা করতে এসেছি বৈধতার সাথে ব্যবসা করি সরকার কে ভ্যাট-ট্যাক্স দেই কিন্তু কাউকে চাঁদা দেইনি আর দেবোনা। কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান আমার কর্মীদের কাছে বলেছে  চাঁদা না দিলে এখানে ব্যবসা করতে পারবোনা। আমি তাকে ও তার সন্ত্রাসীবাহিনীকে কোন প্রকার চাঁদা দেইনি বলেই আজ তারা আমার প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করলো, আমি সরকার ও প্রশাসনের কাছে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবী করছি।’

ঘটণার পরিপ্রেক্ষিতে রহমান কোল্ড ষ্টোরেজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে উপ-পরিদর্শক মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রয়েছেন বলে সিদ্দিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর সাত্তার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।উপ-পরিদর্শক মোঃ মোজাম্মেল হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ