আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেনাপোল স্থলবন্দরে দীর্য ৫ দিন আমদানী-রফতানী বন্ধ

আমদানী-রফতানী বন্ধ

আমদানী-রফতানী বন্ধ

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে কারপাসসহ কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানির প্রতিবাদে ২৫ জানুয়ারি দীর্ঘ ৫ দিন যাবৎ থেকে দু’দেশের সকল প্রকার আমদানী-রফতানী বন্ধ রয়েছে। ফলে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ৷ যার বেশির ভাগেই বাংলাদেশের শত ভাগ রফতানীমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামালসহ পচনশীল পণ্য ,ক্যামিকেল,ঔষধের কাঁচামাল রয়েছে।

আমদানী-রফতানী বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোডসহ বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রম এবং পাসপোর্ট যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতের পেট্রাপোলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকায় বিষয়টি সুরাহার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

রোববার বিকেলে পেট্রাপোল টার্মিনালের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ভারতীয় ট্রাক মালিক, ট্রাক চালক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন।
ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, পেট্রাপোল কাস্টমসের নতুন একজন কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট যোগদান করার পর থেকে নানা হয়রানি শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তিনি নিজেকে উপর লেবেলের হাত রয়েছে এই অজুহাত দেখিয়ে একের পর এক হয়রানি করছেন আমাদের উপর।

সর্বশেষ বাংলাদেশে দ্রুত পণ্য রফতানী করার জন্য পূর্বে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারীরা কাস্টমস অফিসারে মাধ্যমে মেনিফেস্ট তৈরি করার পর কারপাস (গেট পাস) ইস্যু করে পণ্য রফতানী করতো। হঠাৎ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশনা জারি করে যে, তারা নিজেরাই কারপাস ইস্যু করে রফতানী পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করাবেন। এ ধরনের নির্দেশনায় পণ্য রফতানিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। রফতানী পণ্যের কোনো কাগজপত্র না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো কারপাস ইস্যু করতে পারেনি। যার কারণে দু’দেশের মধ্যে আমদানী-রফতানী বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, ভারতে কারপাস জটিলতাসহ অন্যান্য কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একটানা ৫ দিন যাবৎ আমদানী রফতানী বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পণ্য আমদানী-রফতানী হয়নি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সুজন জানান, আমদানী-রফতানী বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের অনেক আমদানীকারকের পণ্যচালান পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে। সেইসঙ্গে রফতানির জন্য আসা শত শত ট্রাক সীমান্তে পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব পণ্য চালানের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্পের অনেক কাঁচামাল রয়েছে। অনেকের শীপমেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। মানব দেহের প্রয়োজনীয় ঔষধ শিল্লপের কাঁচামাল ও এর মধ্যে আছে,বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, আমদানী-রফতানী সচল হলে গোটা বন্দর এলাকায় পণ্যজটের পাশাপাশি যানজটও প্রকট আকার ধারণ করবে।তিনি আরও জানান,পেট্রাপোল বন্দরে আমদানী-রফতানী বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াতও স্বাভাবিক রয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ