আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরের দুই নৈশ প্রহরী হত্যা- দায় স্বীকার করে আদালতে ডাকাতদের জবানবন্দী

আদালতে ডাকাতদের জবানবন্দী

আদালতে ডাকাতদের জবানবন্দী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বন্দরের দুই নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে তিনটি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৮ ডাকাতের মধ্যে ৭ ডাকাত সরাসরি ডাকাতি ও হত্যাকান্ডে নিজেদের জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম পিপিএম নিশ্চিত করেছেন ডাকাতরা আদালতে স্বাকারোক্তি দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ন কবির, আশেক ইমাম ও মেহেদী হাসানের আদালতে বুধবার (১ আগস্ট) ও সোমবার (৬ আগস্ট) তাদের জবানবন্দি রের্কড করা হয়েছে। এর আগে তারা সবাই রিমান্ডে ছিলেন।
স্বীকারোক্তি দেয়া আসামীরা হলেন, মোক্তার হোসেন, রনি হোসেন, রানা ফকির, জাহিদুল শরীফ ওরফে তাহিদুল ওরফে তৌহিদুল, জসিম ওরফে মুন্না, শাওন রানা ও মহিন সিকদার। অপর গ্রেফতারকৃত আতিকুর রহমান লুন্ঠিত সামগ্রী ক্রয়ের আসামী।
ডাকাতরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, পূর্বে ডাকাতি করতে এসে নৈশপ্রহরীদের কারণে ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর আবার পরিকল্পনা করে ২১ জুলাই ১০ সদস্যের ডাকাত দল আসে। পরে দুই দিক থেকে নৈশপ্রহরীদের ঘিরে ফেলে নৈশপ্রহরীদের হাত পা বেধে ইট ও লাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে এবং ৩টি দোকানে থাকা ১ শ’ থেকে ১ শ’ ৫০ ব্যাটারী নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই রাত আনুমানিক দুইটার দিকে বন্দর উপজেলার দক্ষিণ লক্ষণখোলা বাজারে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা রায়হান উদ্দিন ও মোতালেব নামের দুই নৈশপ্রহরীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তিনটি ব্যাটারীর দোকান থেকে ২৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকার মালামাল লুট করে। এ ঘটনার পরদিন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিছমিল্লাহ ব্যাটারীর মালিক আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। পরে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডাকাতদের পরিচয় সনাক্ত করে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ