আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আতাঁত নাকি প্রতিদ্বন্দ্বিতা

বিশেষ প্রতিবেদক:

জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার নির্বাচনী এলাকা সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন ৭ অক্টোবর । এ উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেবে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের তেমন প্রচার দেখা যাচ্ছে না। সুত্রের খবর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এ দুই দল আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের ৭জন মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে। তারা হলেন প্রয়াত সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন এর ভাই মনির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক ভুইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাছুম, বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হলে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারে।

জনশ্রুতি আছে গত সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকা ,এমপি পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এবার তিনি কাকে সমর্থন দেবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি জাতীয় পার্টির কোনো নেতাকে প্রার্থী করবেন নাকি এবারও আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে সমর্থন দেবেন? তা নিয়ে তিনি এখন পর্যন্ত তার অবস্থান পরিস্কার করেন নি। শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টির মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সোনারগাঁয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। সেখানে কৌশলে রয়েছে বিএনপি । অপরদিকে এমপি পদ টিকে রাখতে যা করা দরকার জাতীয় পার্টির নেতা লিয়াকত হোসেন খোকা তাই করবেন। বিরোধী দল সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নাকি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাথে আতাঁত করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এদিকে সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত চাইবে তার কোনো সমর্থক চেয়ারম্যান হোক। সেই সুযোগ টা লিয়াকত হোসেন খোকা, ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু দেবে কি?

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ